টাইব্রেকারে আর্জেন্টিনার জয়ের নায়ক এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। নির্ধারিত সময়ের শেষে ম্যাচের স্কোরলাইন আর্জেন্টিনা ১-১ কলম্বিয়া। কোপায় অতিরিক্ত ৩০ মিনিটের খেলা না থাকায় ম্যাচ পৌঁছায় টাইব্রেকারে। আর এই টাইব্রেকারে তিনটি সেভ করে আর্জেন্টিনাকে ফাইনালের টিকিট এনে দেন। ফাইনালে আর্জেন্টিনার প্রতিপক্ষ লাতিন আমেরিকার অপর পরাশক্তি ব্রাজিল।
এদিন ম্যাচের ৭ মিনিটেই লিওনেল মেসির পাস থেকে গোল করে আলবিসেলেস্তাদের এগিয়ে দেন লউটারো মার্টিনেজ। প্রথমার্ধে এই লীড বজায় রাখলেও ৬১ মিনিটে এডুইন কারোনার পাস থেকে লুইস দিয়াজ কলম্বিয়াকে সমতা এনে দেন। নির্ধারিত সময়ের শেষ পর্যন্ত এই লীডই বজায় থাকে।
কলম্বিয়ার হয়ে এই ম্যাচে টাইব্রেকারে প্রথম শটটি নিতে যান জুয়ান কুয়াদ্রাদো। গোল করতে কোনো ভুল করেননি। উত্তরে আর্জেন্টিনার হয়ে টাইব্রেকারে প্রথম শটটি নেন লিও মেসি। ওসপিনার বিপক্ষে গোল করতে কোনো অসুবিধায় পড়তে হয়নি মেসিকে। তবে দ্বিতীয় স্পট কিকে দুই দলই আটকে যায়। ডেভিনসন স্যাঞ্চেজের বল সেভ করে দেন মার্টিনেজ। কিন্তু রদ্রিগো দে পল অফ টার্গেটে বল মারেন। এরপর মিগুইল বোর্জা কলম্বিয়ার হয়ে স্কোর করলেও ইয়ারি মিনা, এডুইন কারডোনা মার্টিনেজকে পরাস্ত করতে পারেননি। অন্যদিকে লিওনার্দো পারাদেস, লউটারো মার্টিনেজরা কোনো ভুলচুক করেননি গোল করতে।
কলম্বিয়া শেষ বার কোপা শিরোপা জিতেছিলো ২০০১ সালে। তবে আর্জেন্টিনা এই শিরোপা ঘরে তুলেছিলো আরও আগে। ১৯৯৩ সালে। এরপর আর কোনো আন্তর্জাতিক ট্রফির মুখ দেখেনি আর্জেন্টিনা। এবার কি তবে ব্রাজিলকে হারিয়ে আর্জেন্টিনা ঘরে তুলবে লিও মেসির হাত ধরে আন্তর্জাতিক ট্রফি! নাকি টানা দ্বিতীয়বার তথা দশম কোপা শিরোপা ঘরে তুলবে নেইমার, ক্যাসিমিরোরা।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন