প্রবাদপ্রতিম চলচ্চিত্র পরিচালক মৃণাল সেন প্রয়াত। রবিবার সকালে কলকাতার ভবানীপুরে নিজের বাড়িতেই আচমকা হৃদরোগে আক্রান্ত হন তিনি। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিলো ৯৫ বছর। মৃণাল সেনের মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গেই শেষ হয়ে গেল বাংলা চলচ্চিত্রের এক যুগ।
১৯২৩ সালের ১৪ মে বর্তমান বাংলাদেশের ফরিদপুরে তাঁর জন্ম। পরে কলকাতায় আসেন এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। আজীবন বিশ্বাসী ছিলেন বাম চিন্তাধারায়। আই পিটিএ-র সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন দীর্ঘদিন।
ভিন্ন ধারার চলচ্চিত্রের অন্যতম প্রধান নির্মাতা মৃণাল সেন ১৯৮৩ সালে পদ্মভূষণ পুরস্কারে সম্মানিত হন। ২০০০ সালে তিনি পেয়েছিলেন অর্ডার অফ ফ্রেন্ডশিপ পুরস্কার।
১৯৫৫ সালে রাতভোর চলচ্চিত্র নির্মাণ দিয়ে তাঁর পরিচালক জীবনের সূচনা। এরপর নীল আকাশের নীচে তাঁকে খ্যাতি এনে দেয়। এর পরের চলচ্চিত্র বাইশে শ্রাবণ তাঁকে প্রথম আন্তর্জাতিক খ্যাতি এনে দেয়। দীর্ঘ পরিচালক জীবনে তিনি কান, ভেনিস, বার্লিন, মস্কো, কারলোভি ভ্যালী, মন্ট্রিয়ল, শিকাগো প্রভৃতি জায়গা থেকে পুরস্কার পেয়েছেন। যদিও ২০১২ সালের ২৪ জুলাই পশ্চিমবঙ্গের চিত্র পরিচালকদের সম্বর্ধনা অনুষ্ঠানে তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।
১৯৮২ সালে ৩২ তম বার্লিন আন্তর্জাতিক ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল-এ তিনি জুরি বোর্ডের সদস্য ছিলেন। ১৯৮৩ সালে তিনি মস্কো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের জুরি বোর্ডের সদস্য ছিলেন।
১৯৭২ সালে নির্মিত কলকাতায় ৭১ এবং ১৯৮০ তে নির্মিত খারিজ চলচ্চিত্রের তিনি দ্বিতীয় পুরস্কার পেয়েছিলেন। ১৯৬১ সালে পুনশ্চ, ১৯৬৫ সালে আকাশ কুসুম এবং ১৯৯৩ সালে অন্তঃরীণ চলচ্চিত্রের জন্য তিনি জাতীয় পুরস্কার পেয়েছিলেন।
১৯৬৯ সালে ভুবন সোম, ১৯৭৯ সালে এক দিন প্রতিদিন, ১৯৮০ তে আকালের সন্ধানে এবং ১৯৮৪তে খন্ডহর চলচ্চিত্রের জন্য তিনি সেরা পরিচালকের সম্মান লাভ করেন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন