#ভাবাবেগম্যাটার্স। "কলঙ্কিনী রাধা" গান প্রসঙ্গে হিন্দুত্ববাদীদের এভাবেই কটাক্ষ করলেন অভিনেতা অনির্বাণ ভট্টাচার্য। এই হ্যাশট্যাগ ব্যবহারের পাশাপাশি গানের ভাষাও কিছুটা পরিবর্তন করেছেন অভিনেতা।
গত কয়েকদিন ধরেই প্রচলিত লোকসঙ্গীত "কলঙ্কিনী রাধা" নিয়ে উত্তাল নেট দুনিয়া। হিন্দুত্ববাদীদের অভিযোগ, সদ্য মুক্তিপ্রাপ্ত 'বুলবুল' সিনেমায় ব্যবহৃত এই গানে হিন্দুদের ভগবান কৃষ্ণকে 'কানু হারামজাদা' এবং রাধাকে 'কলঙ্কিনী রাধা' বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এতে আসলে হিন্দু ধর্মকে অপমান করা হয়েছে। এই অভিযোগে নেটফ্লিক্সকে বয়কট করার ডাকও তুলেছে হিন্দুত্ববাদীর ধ্বজাধারীরা। সম্প্রতি নেটফ্লিক্সে মুক্তি পেয়েছে অনুষ্কা শর্মা প্রযোজিত 'বুলবুল' সিনেমাটি। হিন্দুত্ববাদীদের অভিযোগ, সিনেমাতে এই গান ব্যবহার করে সমস্ত হিন্দু ধর্মকে অপমান করার ইন্ধন যুগিয়েছেন অনুষ্কা শর্মা।
হিন্দুত্ববাদীদের এই সমালোচনায় ক্ষুব্ধ বাংলার লোকসঙ্গীত প্রিয় মানুষরা। যা নিয়ে গত কদিন ধরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁরা তাঁদের ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন। এই বিষয়ে সমালোচকদের ব্যঙ্গ করে শনিবার নিজের ট্যুইটার হ্যান্ডেলে অভিনেতা অনির্বাণ লেখেন, "ও কি ও.... গরবিনী রাধা... কদম গাছে বসে আছে... কানু সাহেবজাদা..." এবার ঠিক আছে? #ভাবাবেগম্যাটার্স"।
অনির্বাণ ভট্টাচার্যের করা এই ট্যুইট এখনও পর্যন্ত ১৪০০ রিট্যুইট হয়েছে এবং ২০৫ জন এই ট্যুইটে মতামত জানিয়েছেন। যাদের অধিকাংশেরই বক্তব্য ‘বাঙালির হারামজাদা কানু’ বা ‘কলঙ্কিনী রাধা’ বোঝার, বাঙালির সংস্কৃতি বোঝার ক্ষমতা নেই গোবলয়ের।
জনৈক শৌভিক এই ট্যুইটের উত্তরে লিখেছেন - লাভ নেই। ওরা আসছে। শেষ করে দেবে আমাদের সংস্কৃতি, আমাদের খাওয়া দাওয়া সব কিছুই। যেদিন Inox এ সিনেমা দেখতে গিয়ে ভেজ স্যান্ডউইচটা মেনে নিয়েছিলাম, সেদিনই এর মুহুরাত হয়ে গেছিল। কখনো জানতে ইচ্ছা করেছে, বাংলা ছবির শুরুতে "মহরৎ"কেন ব্যবহার হয় না?
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন