টলিউড ইন্ডাস্ট্রি নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন খড়গপুরের বিজেপি বিধায়ক তথা অভিনেতা হিরণ চট্টোপাধ্যায়। পাশাপাশি ফের একবার অভিনেতা দেবের সাথে গরু পাচার কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত এনামুল হকের মধ্যে আর্থক লেনদেনের কথা উল্লেখ করলেন তিনি।
জনপ্রিয় এক সংবাদমাধ্যমে হিরণ বলেন, "আমি আগেও বলেছিলাম ঘাটালের সাংসদ দীপক অধিকারী দুর্নীতিতে জড়িত। এনামুল হকের কাছে থেকে ৫ কোটি টাকা নিয়েছেন তিনি। এই কথা বলার জন্য দেবের ফ্যানেরা আমাকে অনেক কটূক্তি করেছিলেন। সোশ্যাল মিডিয়াতে ট্রোলও করেছিলেন।"
"বনি সেনগুপ্তের মতো একটা ছোটো ছেলে যে সবে অভিনয় জগতে এসেছে সেও কীভাবে দুর্নীতিতে জড়িয়ে গেল? এমনকি তৃণমূলের নেত্রী সায়নী ঘোষ, আদালতের বিচারকও তাঁকে নিয়ে বলছেন। তিনি (সায়নী ঘোষ) কীভাবে একটার পর একটা ফ্ল্যাট নিয়েছেন, বেআইনি ভাবে বানিয়েছেন, কার টাকায় বানিয়েছেন, আমরা সবাই সেইসব জিনিস দেখতে পাচ্ছি। মানুষ বুঝতে পেরেছে তৃণমূল কংগ্রেস মানে দুর্নীতি। তৃণমূল কংগ্রেস মানে চোর", বলেন হিরণ।
খড়গপুরের বিজেপি বিধায়ক আরও বলেন, "টলিউডের প্রযোজক শ্রীকান্ত মোহতা কত বড়ো দুর্নীতিতে জড়িয়েছিলেন। যার জন্য ২ বছরের জেলও খেটেছে্ন তিনি। কোটি কোটি টাকা লুঠ করেছেন তিনি। টলিউড ইন্ডাস্ট্রির ৯৯ শতাংশ অভিনেতা-অভিনেত্রী ও প্রোডিউসাররা পরোক্ষ বা প্রত্যক্ষ ভাবে চোরেদের সরকারের সাথে যুক্ত। অনেকে এমনও আছেন যাঁরা চোরেদের মন্ত্রী, চোরেদের নেতাদের সাথে সরাসরি জড়িয়ে পড়ছেন। চোরেদের নেতা তাদের গাড়ি কিনে দিচ্ছে। কেউ আবার সিনেমা বানাচ্ছে, কেউ ফ্ল্যাট কিনে দিচ্ছে। মনে হচ্ছে একটা সিনেমা দেখছি। পশ্চিমবঙ্গের বুকে সব থেকে বড় সিনেমা হলো - চোরেদের দল চোরেদের সরকার তৃণমূল।"
যদিও হিরণের অভিযোগের কোনো প্রতিক্রিয়া মেলেনি সায়নী ঘোষ ও বনি সেনগুপ্তের কাছে থেকে। দেবও হিরণের কথায় গুরুত্ব দিতেই নারাজ। উল্লেখ্য, হিরণ একসময় তৃণমূলেই ছিল। ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপিতে যোগ দেন তিনি।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন