তিনি সক্রিয় রাজনীতিতে নেই বেশ কয়েক বছর। যদিও রাজনীতির সমস্ত খবরাখবরই তাঁর নখদর্পণে। দীর্ঘ ১০ বছর তাঁর দল ক্ষমতায় না থাকলেও আজও তাঁর নাম ঘিরে কাজ করে এক অদ্ভুত উন্মাদনা। তিনি বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা সিপিআই(এম) নেতাকে উদ্দেশ্য করে 'আপনাকে ভালোবাসি স্যার' লিখে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোষ্ট করলেন অভিনেতা জিতু কমল। যা ঘিরে উত্তাল নেট দুনিয়া।
গতকাল সকাল ১০.৩৫ মিনিটে নিজের ফেসবুক পেজে টলিউডের খ্যাতনামা অভিনেতা জিতু কমল লেখেন – “আপনাকে ভালোবাসি স্যার.. আপনি বাম রাজনীতি করেন শুধু তাই জন্যে নয়.. আপনি সততার, সত্যের, নিষ্ঠার আরেক নাম..আপনি "বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য"
এই পোস্টের শেষে বি দ্র লিখে জিতু কমলের বিস্ফোরক অভিযোগ – “এই পোস্টের জন্যেও, আমার কাজের ক্ষতি হবে, সংসার চালাতে ব্যাঘাত ঘটানো হবে, প্রচুর কমপ্লেইন পড়বে, তবুও আমি রাজনীতির উর্দ্ধে গিয়ে সত্যের কথা বলবোই, বাকি দুবেলা পেট নাহয় ঈশ্বরই চালিয়ে দেবেন, যদি সত্যের পথে থাকতে পারি”।
এর আগে কখনোই এত স্পষ্ট ভাবে বামেদের সমর্থনে জিতু কমলকে কথা বলতে শোনা যায়নি। এমনকি সোশ্যাল মিডিয়াতেও তিনি বামেদের হয়ে কখনও গলা ফাটাননি। কিন্তু গতকাল তাঁর এই খোলামেলা বাম সমর্থনের পোস্টের পরেই মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে যায় সেই পোস্ট। প্রায় দেড় হাজার জন এই পোস্টে রিঅ্যাকশন দেন।
কিন্তু কেন হঠাৎ এভাবে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন জিতু। জানা গেছে, তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের পুরস্কার পেলেও তিনি বাম সমর্থক জানার পর তাঁকে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। তাঁর মতে হয়তো চন্দন সেন, বাদশা মৈত্ররাও এই একই সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন। কিন্তু কখনও কোনো অভিযোগ জানাননি। আসলে বামপন্থীরা বরাবরই নালিশ কম করে থাকেন।
তাঁর মতে, গত রবিবার মমতা ব্যানার্জি প্রসঙ্গে মুখ খোলায় বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের বহু আগে বলা এক কথাই মান্যতা পেয়েছে। যেখানে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য বলেছিলেন - এটা যে একটা নোংরা রাজনীতি তা মানুষ ১০ বছর পর বুঝতে পারবে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন