ফ্রান্সের মাটিতে স্বপ্নভঙ্গ ভারতের মহিলা কুস্তিগীর ভীনেশ ফোগাটের। দেশের হয়ে সোনা জেতা হল না তাঁর। একের পর এক নজির গড়ে অভিযান শুরু করেছিলেন তিনি। বুধবার ফাইনালে তিনি মুখোমুখি হতেন আমেরিকান প্রতিপক্ষ সারা হিলডেব্রান্টের। কিন্তু জানা যাচ্ছে ওজন করতে গিয়ে ১০০ গ্রাম ওজন বেশি হয় ভীনেশের। তাই ৫০ কেজির বিভাগ থেকে ডিসকোয়ালিফাই ঘোষণা করা হয়েছে তাঁকে।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার কুস্তির প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে জাপানি প্রতিপক্ষকে হারিয়ে নজির গড়েছিলেন ভীনেশ। জাপানের ইউই সুসাকি টানা ৮২টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ অপরাজিত ছিলেন। কিন্তু সেই ম্যাচের মধ্যে কোনওটিতেই ভীনেশের মুখোমুখি হননি। গতকাল সেই ভীনেশই ৩-২ ব্যবধানে হারান গত অলিম্পিকের সোনাজয়ী কুস্তিগীরকে।
প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালের পর কোয়ার্টার ফাইনালেও নজরকাড়া পারফর্ম করেন ভারতীয় কুস্তিগীর। কোয়ার্টার ফাইনালে ইউক্রেনের ওকসানার ৭-৫ ব্যবধানে ম্যাচ জিতে নেন ভীনেশ। সেমিফাইনালে কিউবার প্রতিপক্ষকে ৫-০ ব্যবধানে হারিয়ে পদক নিশ্চিত করেছিলেন ভীনেশ।
ভীনেশের জয় নিয়ে যেখানে সারা দেশ তাঁকে নিয়ে গর্বিত। সেখানে নবনির্বাচিত সাংসদ কঙ্গনা রানাউত সমাজ মাধ্যমে তাঁর সমালোচনা করেছেন। মঙ্গলবার রাতে যখন প্রথম ভারতীয় মহিলা কুস্তীগির হিসেবে অলিম্পিক্সের ফাইনালে উঠে ভীনেশের ইতিহাস গড়ার খবর প্রকাশ্যে এসেছে এবং গোটা দেশ তাঁকে অভিনন্দন জানাচ্ছেন, তখন অভিনেত্রী-সাংসদ নিজের ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে ভীনেশের একটা ভারতের পতাকা হাতে ছবি দিয়ে লেখেন, "মোদী তোমার কবর খুঁড়ব’ স্লোগান দিয়েছিলেন ভীনেশ। এর পরেও তিনি দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পেয়েছেন। শুধু তা-ই নয়, উচ্চমানের প্রশিক্ষণ, প্রশিক্ষক এবং নানা সুযোগসুবিধা পেয়েছেন তিনি। এটাই গণতন্ত্রের সৌন্দর্য। এটাই মহান নেতৃত্ব।” আর কঙ্গনার এহেন মন্তব্য ঘিরে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
গত ২টি অলিম্পিকে তিনি পদক জিততে পারেননি। ২০১৬ রিও অলিম্পিকে ৪৮ কেজি বিভাগে এবং ২০২০ টোকিও অলিম্পিকে ৫৩ কেজি বিভাগে অংশ নিয়েছিলেন ভীনেশ। চলতি অলিম্পিকে ৫০ কেজি বিভাগে অংশ নেন ভীনেশ। ফাইনালে ওঠায় সকলেই সোনার পদকের আশায় ছিলেন। কিন্তু তা বাস্তবে পরিণত হল না।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন