রেশন দুর্নীতি মামলায় বুধবার দুপুরে ইডি দফতরে হাজিরা দিয়েছিলেন অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। দুপুর ১২ টা ৫৫ মিনিট নাগাদ ইডি দফতরে পৌঁছান অভিনেত্রী। প্রায় পাঁচ ঘন্টা পর বিকেল ৫টা ৪৯ মিনিটে সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বেরোলেন তিনি। এদিন অভিনেত্রী যাওয়ার আগেই প্রয়োজনীয় নথি নিয়ে সিজিওতে পৌঁছান তাঁর হিসাবরক্ষক।
উল্লেখ্য, এর আগে রেশন দুর্নীতি মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গত ৩০ মে নোটিশ পাঠানো হয় অভিনেত্রীকে। ৫ জুন তাঁকে কলকাতায় ইডি দপ্তরে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু সেই সময় বিদেশে থাকার জন্য তলব এড়ান তিনি। ৬ জুনের পর হাজিরার জন্য সময় চেয়েছিলেন অভিনেত্রী।
এরপর ৭ জুন অভিনেত্রীকে ফের তলবের নোটিশ পাঠায় ইডি। ১৯ জুন অভিনেত্রীকে এই মামলায় হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। সেই মতো বুধবার দুপুরে সিজিও পৌঁছান তিনি। তবে এদিন ইডি দফতরে অভিনেত্রীর পৌঁছানোর আগেই যান তাঁর হিসাবরক্ষক। ফলে অভিনেত্রী যে যাচ্ছেন, সেটা আগেই পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল।
বুধবার ঋতুপর্ণার হিসাবরক্ষক জানিয়েছিলেন, অভিনেত্রীর কাছে যে সমস্ত হিসাব চেয়েছিল ইডি, তা তিনি দেখাশোনা করেন। তাই হিসাব বুঝিয়ে দিতে সুবিধা হবে বলে তিনি এসেছেন। অভিনেত্রীও পরে সিজিওতে আসবেন বলে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন হিসাবরক্ষক। সেই মতো দুপুর ১টা নাগাদ অভিনেত্রী এসে পৌঁছন সিজিওতে।
দপ্তর থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের সামনে অভিনেত্রী জানান, রেশন দুর্নীতির সঙ্গে তাঁর কোনও সম্পর্ক নেই। ইডি কয়েকটি ডকুমেন্ট চেয়েছিল, সেগুলি সমস্ত দিয়েছেন তিনি। তদন্তে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করেছেন। যেহেতু বিষয়টি তদন্তাধীন, তাই বেশি মন্তব্য করতে চাননি তিনি।
ইডি সূত্রে খবর, রেশন দুর্নীতিতে গ্রেফতার এক অভিযুক্তের সঙ্গে অভিনেত্রীর প্রায় এক কোটি টাকা নগদ লেনদেনের হদিশ মিলেছে। ব্যাঙ্কে লেনদেনের তথ্যের উপর ভিত্তি করেই এই তলব বলে জানা গেছে।
প্রসঙ্গত, বর্তমানে রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে জেলবন্দি রয়েছে রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান শঙ্কর আঢ্য, রেশন ব্যবসায়ী বাকিবুর রহমান, সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান সহ শাসকদলের কয়েক জন নেতা ও তাঁদের ঘনিষ্ঠরা।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন