পাঞ্জাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নিরাপত্তা নিয়ে এবার সরব হলেন অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াত। কংগ্রেস ও বিজেপির মধ্যে তির ছোড়াছুড়ি তো চলছেই। এই পরিস্থিতিতে ‘কন্ট্রোভার্সি ক্যুইন’ পাঞ্জাবকে ‘সন্ত্রাসবাদের আঁতুড়ঘর’ বলে উল্লেখ করে দাবি করলেন, গোটা দেশকে এর মূল্য দিতে হবে।
ইনস্টাগ্রামে 'কুইন'-খ্যাত বলি-অভিনেত্রী লিখেছেন, পাঞ্জাবে যা হয়েছে তা লজ্জাজনক। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচিত একজন নেতা/ প্রতিনিধি, ১৪০ কোটি ভারতীয়র কণ্ঠস্বর। তাঁকে আক্রমণের অর্থ প্রতিটি ভারতীয়র উপরে আক্রমণ- এটা আমাদের গণতন্ত্রের উপরই হামলা। পাঞ্জাব সন্ত্রাসের আঁতুড়ঘর হয়ে উঠছে। আমরা যদি এখনই ওদের না থামাই, তাহলে দেশকে এরজন্য বড় মূল্য চোকাতে হবে।
প্রসঙ্গত, বুধবার বিধানসভা ভোটের প্রচার উপলক্ষে পাঞ্জাব সফরে যান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ভাতিন্ডা বিমানবন্দর থেকে ফিরোজপুর যাচ্ছিলেন তিনি। একটি ফ্লাইওভারে প্রায় মিনিট কুড়ি আটকে পড়েন একটি বিক্ষোভের জেরে। এই ঘটনাতেই প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তায় গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক ৩ সদস্যের হাই প্রোফাইল তদন্ত কমিটি গড়েছে।
এদিকে, গত বেশ কয়েক বছর ধরেই প্রধানমন্ত্রী মোদি ও শাসক দল বিজেপির একনিষ্ঠ ‘ভক্ত’ হিসাবে নিজেকে নানা কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে পরিচিত করিয়েছেন কঙ্গনা। এর আগেও তিনি একাধিক ইস্যুতে কেন্দ্রকে সমর্থন করেছেন। পাঞ্জাবের প্রতি তাঁর দৃষ্টিভঙ্গিও আগেই প্রকাশ্যে এসেছিল। কৃষক আন্দোলন নিয়ে তাঁর অভিযোগ ছিল, এই আন্দোলনে খালিস্তানিরা জড়িত। গত বছরের শেষের দিকে তিনি মন্তব্য করেছিলেন, ২০১৪ সালের পর দেশ প্রকৃত স্বাধীনতা পায়। তাঁর এই মন্তব্য ঘিরে তীব্র সমালোচনা ঢেউ বয়ে যায়।
নেটিজেনদের বক্তব্য, মাঝে মাঝে খবরের শিরোনামে আসার জন্য এধরনের বিতর্কিত মন্তব্য করে থাকেন কঙ্গনা। আগামী ‘টিকু ওয়েডস শেরু’ ছবি নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকি ও অবনীত কাউরের সঙ্গে তাঁকে অভিনয় করতে দেখা যাবে। এছাড়াও ‘ধকড়’ ছবিতেও দেখা যাবে তাঁকে। একের পর এক বিতর্ক তৈরি করে ২০২১ কেটেছে তাঁর। নতুন বছরে কীভাবে কাটে সেটাই দেখার।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন