ফের বিজেপি সাংসদ তথা অভিনেতা সানি দেওলের নামে নিখোঁজ পোস্টার পড়লো পাঞ্জাবের গুরুদাসপুর ও পাঠানকোট এলাকায়। সানিকে খুঁজে দিতে পারলে নগদ ৫০ হাজার টাকা পুরস্কারও ঘোষণা করা হয়েছে।
বিজেপি সাংসদ সানি দেওলের নামে নিখোঁজ পোস্টার নতুন নয়। গুরুদাসপুর এলাকার মানুষ সানির কাজের প্রতি রীতিমতো ক্ষুব্ধ। তাঁদের অভিযোগ, অভিনেতা সাংসদ নিজের এলাকায় ঠিকমতো কাজই করেন না। এমনকি এলাকাতেও আসেন না। কিছু মাস আগে 'গদর-২' সিনেমার শ্যুটিং-র জন্য চন্ডীগড় এসেছিলেন। কিন্তু সেখান থেকেই আবার ফিরে যান। গুরুদাসপুরের মানুষদের সমস্যার কথা শোনেননি। তারপর থেকে সাংসদের বিরুদ্ধে আরও ক্ষোভ বাড়তে থাকে স্থানীয়দের মধ্যে।
বুধবার পাঠানকোট ও গুরুদাসপুর এলাকায় সানি দেওলের ছবি সহ 'গুমসুদা কী তালাশ' লেখা পোস্টার দেখতে পাওয়া যায়। স্থানীয়রাই সেই পোস্টার লাগিয়েছেন। তাঁরা বলেন, 'কেউ যদি সানি দেওলকে খুঁজে দিতে পারেন তাহলে তাঁকে ৫০ হাজার টাকা নগদ পুরস্কার দেওয়া হবে'।
এর আগে, গত বছরের অক্টোবর মাসে নির্বাচনী কেন্দ্রে সানি দেওলের দীর্ঘ অনুপস্থিতিকে কটাক্ষ করে স্থানীয় মানুষ নিখোঁজ পোষ্টার লাগান। যেখানে বিজেপি সাংসদের ছবি দিয়ে স্পষ্টভাবে লেখা ছিল 'গুমসুদা কী তালাশ'। তবে সে বার কোনো আর্থিক পুরস্কারের উল্লেখ ছিল না।
২০১৯ সালের পর থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত নির্বাচনী এলাকার প্রতি সানি দেওলের অনীহার কারণে ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে বিপদে পড়তে পারে বিজেপি। এই আশঙ্কাই করছেন স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। যা নিয়ে শীর্ষ নেতৃত্বেরও দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন গুরুদাসপুরের বিজেপি নেতৃত্বরা।
প্রসঙ্গত ২০১৯ সালে গুরুদাসপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে বিজেপির টিকিটে জয়ী হয়েছিলেন সানি দেওল। কংগ্রেসের সুনীল জাখরকে ৮২,৪৫৯ ভোটে হারিয়ে নিজের সাংসদ পদ নিশ্চিত করেছিলেন সানি। তবে ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে দল তাঁকে আদৌ টিকিট দেয় কিনা সেটাই দেখার।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন