বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মার পাশে দাঁড়ালেন বলিউড অভিনেতা অনুপম খের। পয়গম্বর বিতর্কে নূপুর শর্মার মন্তব্যের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করা হয়েছিল। সেই মামলার বিরোধীতা করে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হতেই বিচারকদের তীব্র ভর্ৎসনার মুখে পড়েছেন বিজেপি নেত্রী।
তবে এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছেন অভিনেতা অনুপম খের। উচ্চ আদালতের বিচারকদের উদ্দেশ্যে তিনি নিজস্ব ট্যুইটার হ্যান্ডেল থেকে একটি ট্যুইটও করেছেন। ট্যুইটে বিচারপতির উদ্দেশ্যে অনুপম জানিয়েছেন, "আপনি এমন কিছু করুন, যা কিনা সত্যিই সম্মানজনক!"
নিজের করা মন্তব্যের জেরে প্রাণনাশের হুমকি পাচ্ছেন, এই অভিযোগে সাসপেন্ডেড বিজেপি নেত্রী সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। আর সেখানেই তাঁকে পড়তে হয়েছে তীব্র ভর্ৎসনার মুখে। গত শুক্রবার এই মামলার শুনানি ছিল সুপ্রিম কোর্টের অবসরকালীন বিচারপতি সূর্যকান্ত এবং জে বি পারদিওয়ালা-র ডিভিশন বেঞ্চে। শীর্ষ আদালতের স্পষ্ট পর্যবেক্ষণ যে, বিজেপি নেত্রীর দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্যের জেরেই দেশের এমন পরিস্থিতি। তিনি অনেক দেরিতে ক্ষমা চেয়েছেন। তাঁর উচিত প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়া।
উচ্চ আদালতের বিচারপতিরা নূপুর শর্মার আর্জি শুনতেও অস্বীকার করেছেন বলে সূত্রের খবর। বিচারপতিরা তাঁকে তিরস্কার করে বলেছেন, "যখন কারও বিরুদ্ধে এফআইআর হয়, তাঁদের গ্রেপ্তারির আওতায় আনা হয়। কিন্তু আপনাকে তো কেউ ছুঁতেই পারছে না।" আদালত আরও জানিয়েছে, "এঁরা কখনই ধার্মিক মানুষ নন, এঁরা উস্কানি দেবার জন্য এইধরণের মন্তব্য করেন।"
সূত্রের খবর এই ঘটনার পর সুপ্রিম কোর্টে একটি পিটিশন জমা দেওয়া হয়েছে। যেখানে বলা আছে, বিচারপতি সূর্য কান্ত নূপুর শর্মাকে নিয়ে যে পর্যবেক্ষণ করেছেন তা ফিরিয়ে নিতে হবে।
সম্প্রতি, বিজেপি নেত্রীর বিতর্কিত মন্তব্যে তোলপাড় হয়েছে গোটা দেশ। দেশের রাজ্য-রাজনীতি থেকে সমাজের প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রেই এর প্রভাব দেখা গেছে। নানা জায়গায় বিক্ষোভ, অবরোধ হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে বিভিন্ন রাজ্যের একাধিক থানায় এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল। কলকাতার দুটি থানাতেও এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল। কলকাতার নারকেল ডাঙা থানায় তাঁকে তলব করা হয়েছিল। কিন্তু নিরাপত্তাহীনতার কারণ দেখিয়ে বহুবার তিনি তলব এড়িয়ে গিয়েছেন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন