সম্প্রতি নাট্যকর্মী - অভিনেতা অমিত সাহাকে প্রহারের ঘটনায় মুখ খুলেছেন একাধিক বিদ্বজ্জন। যার জেরে মুখ পুড়েছে শাসকদল তৃণমূলের। তবে, পরিস্থিতি সামাল দিতে আসরে নেমেছেন স্থানীয় বিধায়ক পরেশ পাল। জানা যাচ্ছে, নাট্যোৎসব করার জন্য অমিত সাহার পাশে দাঁড়িয়েছেন তিনি।
শুক্রবার, বিধায়ক পরেশ পাল বলেন, 'ওঁরা (অমিতরা) তো দীর্ঘ দিন ধরে এলাকায় নাটক করছেন। আমরা সেখানে গিয়েছি। আমি নাট্যকর্মীদের পক্ষে। কে অলোক দাস (অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা)? তার এত দম যে, নাটক বন্ধ করে দেবে! ওখানেই আবার যাতে নাটক হয়, তার ব্যবস্থা করব আমি।'
অমিত সাহাকে প্রহারের ঘটনায় গতকালই শাসকদলকে ধিক্কার জানিয়েছিলেন অভিনেতা অনির্বাণ ভট্টাচার্য। তাঁর সঙ্গে সুর মিলিয়েছেন একাধিক চিত্র পরিচালক থেকে শুরু করে অভিনেতা ও নাট্যব্যক্তিত্বরা।
সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিবাদ জানিয়ে অভিনেতা অনির্বাণ ভট্টাচার্য বলেন, 'চলুন, আমরা নাটক ছেড়ে একটা মার খাওয়ার উৎসবের দিকে এগিয়ে যাই।' সঙ্গে তিনি লেখেন, 'আমি প্রতিবাদ করছি, আরও অনেকের সঙ্গে, এটা জেনেই, যে এই প্রতিবাদ ব্যর্থ হবে। যার গায়ে হাত উঠেছে, তার গায়ে আবার হাত উঠতে পারে শীঘ্রই, এবং যিনি হাত তুলেছেন, তিনি তার সাহসে বলীয়ান হয়ে বাংলা মায়ের সুযোগ্য সন্তানের অনেকগুলো সার্টিফিকেট ঘরে বাঁধিয়ে রাখবেন।'
তরুণ অভিনেতা ঋদ্ধি সেন লেখেন, 'নাট্যোৎসবকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে, আইন নিজের হাতে তুলে নিয়ে এরা দেখিয়ে দিল যে মানুষের থেকে কেকের মূল্য বেশি। সদ্য গজিয়ে ওঠা উৎসবের ভিড়ে আরেকটা উৎসব জুড়ে দেওয়া হোক, গণধোলাইয়ের উৎসব। যুক্তি আর বুদ্ধি চিতায় তুলে সব শাসকদল গায়ে হাত তোলে, আবার তুলবে, বার বার তুলবে। আমরা ব্যর্থ, নির্লজ্জ, হতভাগ্য জনগণ।'
প্রসঙ্গত, গত ২৪ ও ২৫ ডিসেম্বর, বেলেঘাটার একটি মাঠে নাট্যমেলার আয়োজন করেছিলেন অমিত। অভিযোগ ওঠে, এলাকার পার্টি অফিসে আবেদনপত্র জমা দিতে গেলে স্থানীয় নেতা অলোক দাস তাঁকে মারধর করে, এবং নাট্যোৎসব বন্ধ করে দেয়। ঘটনাটি জানাজানি হলে সোশ্যাল মিডিয়ায় শোরগোল পড়ে যায়।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন