প্রখ্যাত সঙ্গীত শিল্পী উস্তাদ রাশিদ খান প্রয়াত। মঙ্গলবার বিকাল ৩.৪৫ মিনিট নাগাদ কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৫৫ বছর। এদিন সকাল থেকেই শারীরিক অবস্থার গুরুতর অবনতি ঘটে শিল্পীর। তাঁকে ভেন্টিলেশনেও দেওয়া হয়।
মঙ্গলবার দুপুরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পৌঁছান হাসপাতালে। সেখান থেকে বেরিয়ে তিনি এই দুঃসংবাদ জানান। মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, বুধবার সকালে শিল্পীকে রবীন্দ্র সদনে নিয়ে যাওয়া হবে। সকাল ৯.৩০ থেকে শেষ শ্রদ্ধা জানানো শুরু হবে। দুপুর ১ টায় রবীন্দ্র সদনে হবে গান স্যালুট। এরপর, পারিবারিক নিয়ম অনুযায়ী তাঁর শেষকার্য সম্পন্ন হবে।
বেশ কিছুদিন ধরেই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন উস্তাদ রাশিদ খান। বছরের শেষে তাঁর শারীরিক অবস্থার খানিক উন্নতি ঘটেছিল। চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন, চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন উস্তাদ। এর মধ্যে তাঁকে রাইলস টিউব দিয়ে খাওয়ানো হয়। জানা গিয়েছিল, স্ট্রোকের ফলে তাঁর বাঁ দিক পক্ষাঘাতগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কাও ছিল।
উল্লেখ্য, মাসখানেক আগে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন উস্তাদ রাশিদ খান। সূত্র অনুসারে, বিগত কয়েক বছর ধরে তিনি প্রস্টেট ক্যানসারে ভুগছিলেন। চিকিৎসার ফলে খানিক সুস্থ হয়েছিলেন শিল্পী। পরবর্তী সময়ে তাঁর ব্রেন স্ট্রোক হয়। এরপর থেকেই অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে। তখন থেকেই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন প্রবাদপ্রতিম এই শিল্পী। যেহেতু তিনি চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছিলেন, তাই সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সঙ্কট কাটিয়ে উঠতে পারবেন বলেই আশা করেছিলেন তাঁর নিকটজন এবং গুণমুগ্ধরা।
১৯৬৮ সালের ১ জুলাই উত্তরপ্রদেশের বদায়ূঁতে জন্ম রাশিদের। রামপুর-সাসওয়ান ঘরানার এই শিল্পী ১০-১১ বছর বয়সেই কলকাতায় চলে আসেন। সঙ্গীত রিসার্চ অ্যাকাডেমির স্কলারশিপ নিয়ে দাদু নিসার হুসেনের কাছে গান শেখা শুরু করেন। এরপর থেকে গিয়েছেন কলকাতাতেই। সঙ্গীত নাটক অ্যাকাডেমি পুরস্কার, পদ্মশ্রী, পদ্মভূষণ সম্মান যেমন পেয়েছেন, তেমন বাংলা থেকেও পেয়েছেন বঙ্গবিভূষণ সম্মান।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন