চণ্ডীগড় বিমানবন্দরে অভিনেত্রী তথা মাণ্ডির সদ্য নির্বাচিত সাংসদ কঙ্গনা রানাউতকে 'চড়' মারার অভিযোগে বরখাস্ত করা হল সিআইএসএফ কনস্টেবেলকে। জানা গেছে, ওই মহিলা অফিসারের বিরুদ্ধে থানায় দায়ের হয়েছে মামলাও।
সদ্য সমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে হিমাচল প্রদেশের মাণ্ডি কেন্দ্র থেকে কংগ্রেস প্রার্থী বিক্রমাদিত্য সিংকে হারিয়ে নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন কঙ্গনা। এরপর বৃহস্পতিবার দিল্লির যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দেন তিনি। চণ্ডীগড় বিমানবন্দরে অভিনেত্রীকে চড় মারার অভিযোগ ওঠে এক কনস্টেবেলের বিরুদ্ধে।
এই ঘটনার পর অভিযুক্ত কনস্টেবেল কুলবিন্দর কৌর জানিয়েছেন, “কঙ্গনা বলেছিলেন কৃষকদের আন্দোলনে অংশ নেওয়া মহিলারা ১০০ টাকার বিনিময়ে ওখানে গিয়ে বসতেন। উনি এমন মন্তব্য করেছিলেন, আমার মা-ও তখন ওই আন্দোলনে অংশ নিয়ে ওখানে বসেছিলেন।“ আর এটা থেকে স্পষ্ট, কৃষকদের আন্দোলন সম্পর্কে কঙ্গনা রানাওয়াতের পুরানো বক্তব্যে খুব অসন্তুষ্ট ছিলেন ওই কনস্টেবেল।
অন্যদিকে, ঘটনাটির পর নিজের এক্স হ্যান্ডেলে কঙ্গনা একটি ভিডিও পোস্ট করেন। তিনি বলেন, “আমি নিরাপদে আছি। চণ্ডীগড় বিমানবন্দরে আজ যে ঘটনাটি ঘটেছে তা নিরাপত্তা তল্লাশির সময় ঘটেছে। সিকিউরিটি চেক করার পর যখন আমি এগিয়ে গেলাম, তখন অন্য কেবিনে থাকা মহিলা সিআইএসএফ কর্মী আমার সামনে এসে ক্রস করার জন্য অপেক্ষা করছিলেন। তারপর পাশ থেকে এসে আমাকে আঘাত করলেন এবং গালাগালিও দিলেন। আমি তাঁকে জিজ্ঞেস করলাম কেন তিনি এটা করলেন। তিনি বললেন, তিনি কৃষকদের প্রতিবাদকে সমর্থন করেন। আমি নিরাপদে আছি। কিন্তু আমার উদ্বেগ হল পাঞ্জাবে সন্ত্রাস ও চরমপন্থা বাড়ছে। কীভাবে আমরা এটা সামলাবো?“
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের কৃষক আন্দোলনের সময় কৃষকদের লড়াইকে সমর্থন জানিয়ে পপ গায়িকা রিহানা সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোষ্ট করেছিলেন। তিনি প্রশ্ন করেছলেন, "কেন ভারতীয়রা এই বিষয়ে কথা বলছে না?"
এর প্রতিক্রিয়ায় অভিনেত্রী বলেছিলেন, "কেউ এটা নিয়ে কথা বলছে না কারণ এঁরা কেউ কৃষক নন, এঁরা সন্ত্রাসবাদী যারা ভারতকে বিভক্ত করার চেষ্টা করছে। যাতে চীন আমাদের দেশ দখল করতে পারে।“ সেই পোষ্টের পর ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন অভিনেত্রী। যদিও পরে সেই পোষ্ট ডিলিট করে দেন তিনি।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন