সম্প্রতি মেক্সিকোতে অনুষ্টিত হল ৭৩ তম মিস ইউনিভার্স। এবারে মিস ইউনিভার্সের খেতাব জিতেছেন ডেনমার্কের ভিক্টোরিয়া থিলভিগ। এই প্রথম ডেনমার্কের কেউ এই খেতাব অর্জন করলেন। সেইদিক থেকে ইতিহাস গড়েছেন ভিক্টোরিয়া। তবে শিরোপা না জিতেও ৭৩ তম মিস ইউনিভার্সের মঞ্চে ইতিহাস গড়েছেন লগিনা সালাহ। মিশরের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন তিনি। প্রথম সেরা ৩০ –এর মধ্যে ছিলেন লগিনা সালাহ। চিরাচরিত সৌন্দর্য্যের সংজ্ঞা ভেঙ্গে তিনিই প্রথম প্রতিযোগী যিনি শ্বেতি (vitiligo) নিয়ে মিস ইউনিভার্সে অংশগ্রহণ করেছেন।
মিস ইউনিভার্সের মঞ্চে লগিনাই প্রথম প্রতিযোগী, যিনি শ্বেতি নিয়ে অংশগ্রহণ করেছেন। নিজের ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডলের ১.৮ মিলিয়ন ফলোয়ারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে লগিনা লেখেন, ‘আমরা ইতিহাস তৈরি করেছি। মিশরকে মিস ইউনিভার্সের সেমিফাইনালে উঠতে দেখে আমি রোমাঞ্চিত এবং গর্বিত। এটি অটুট আত্মোৎসর্গ, কঠোর পরিশ্রমের ফলাফল।‘
তিনি আরও লিখেছেন, ‘আমরা মিশরকে মিস ইউনিভার্সের মানচিত্রে ফিরিয়ে দিয়েছি। এটি সবে শুরু। দৃঢ় সংকল্প এবং একটি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি থাকলে সবকিছু সম্ভব। এই সফরে আমার সঙ্গী হওয়ার জন্য প্রত্যেককে ধন্যবাদ। এমন এক পৃথিবী গড়ার দিকে এগিয়ে চলা যাক যা ঘৃণা ও বিভেদ মুক্ত।‘
১৯৯০ সালে ২১ এপ্রিল মিশরে জন্মগ্রহণ করেন লগিনা সালাহ। বড় হয়ে উঠেছেন আলেকজান্দ্রিয়ায়। শ্বেতি সংক্রান্ত সচেতনতা ছড়ানোর মাধ্যমেই তাঁর ‘বিউটি ওয়ার্ল্ড’-এ প্রবেশ। বছর তিনেক আগে ১০ বছরের মেয়ে অ্যামিকে নিয়ে দুবাই চলে যান লগিনা।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন