বৃহস্পতিবার সকালে প্রয়াত হলেন রাজনৈতিক দল DMDK-র প্রতিষ্ঠাতা তথা তামিল অভিনেতা বিজয়কান্ত। চেন্নাইয়ের একটি হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৭১ বছর।
জানা গেছে, করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। এরপর নিউমোনিয়াতেও আক্রান্ত হন তিনি। অবস্থা সঙ্কটজনক হলে তাঁকে ভেন্টিলেটর সাপোর্ট সিস্টেমে রাখা হয়েছিল।
বিজয়কান্তের পার্টি ডিএমডিকের অফিশিয়াল এক্স হ্যান্ডেলে থেকে কিছুদিন আগেই অভিনেতার অসুস্থতার কথা জানানো হয়েছিল। তাঁকে ভেন্টিলেটর সাপর্টে রাখা হয়েছিল সেটাও জানানো হয়।
ডিএমডিকে সূত্রে জানা গেছে, বিজয়কান্তের দেহ হাসপাতাল থেকে প্রথমে তাঁর বাড়িতে এবং পরে অল্প সময়ের জন্য পার্টি অফিসে নিয়ে যাওয়া হবে।
এর আগে গত সেপ্টেম্বরে শ্বাসকষ্টজনিত কারণে অভিনেতাকে চেন্নাইয়ের এমআইওটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। প্রায় ১৪ দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছিলেন তিনি।
তামিলনাড়ুতে 'ক্যাপ্টন' নামে পরিচিত ছিলেন বিজয়কান্ত। একসময় তামিল সিনেমা জগতে চুটিয়ে অভিনয় করেছেন তিনি। রাজনীতিতে যুক্ত হওয়ার আগে ১৫৪ টি ছবিতে অভিনয় করেছেন। এরপর ২০০৫ সালে তিনি ডিএমডিকে দল প্রতিষ্ঠা করেন। ২০০৬ সালে বিধানসভা ভোটে লড়ে মাত্র ১ টি আসনে জয়ী হয়েছিল দলটি। সেবার ৮ শতাংশের বেশি ভোট পেয়েছিল ডিএমডিকে।
এরপর ২০১১-য় এডিএমকে নেত্রী জয়ললিতার হাত ধরে ২৯টি আসন জেতে ডিএমডিকে। ২০১১-২০১৬ পর্যন্ত তালিননাড়ুর বিরোধী দলনেতা ছিলেন বিজয়কান্ত। জয়ললিতার সঙ্গে জোট ভাঙায় বিধানসভার বিরোধী দলনেতা হন তিনি। ২০১৪-র লোকসভা ভোটে বিজেপি এবং কয়েকটি ছোট দলের সঙ্গে জোট গড়েছিলেন বিজয়কান্ত। ওই নির্বাচনে করুনানিধির ডিএমকে-কে পিছনে ফেলে তামিলনাড়ুতে জয়ললিতার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠেছিল ডিএমডিকে জোট।
পরে বিজেপি ছেড়ে বামদের সঙ্গে জোট বাঁধে বিজয়কান্তের দল। সেই ভোটে কার্যত ভরাডুবি হয়েছিল ডিএমডিকের। পরাজিত হয়েছিলেন বিজয়কান্ত নিজেও। জানা যায়, নিজের স্ত্রীর পরামর্শে বিজেপির সঙ্গ ছাড়েন তিনি। ভোটের হার নেমে গিয়েছিল আড়াই শতাংশতে। চেষ্টা করেও এরপরে তামিল রাজনীতিতের মূল স্রোতে ফিরতে পারেনি ক্যাপ্টেনের দল।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন