২০১৮ সালের ভীমা কোরেগাঁও সহিংসতার মামলায় বিচারপতিকে নিয়ে করা বিতর্কিত ট্যুইটের জন্য দিল্লি হাইকোর্টে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলেন চলচ্চিত্র নির্মাতা বিবেক রঞ্জন অগ্নিহোত্রী (Vivek Ranjan Agnihotri)। এলগার পরিষদ (Elgar Parishad) মামলায় অভিযুক্ত সমাজকর্মী গৌতম নভলাখা (Gautam Navlakha)-কে জামিন দেওয়ার বিষয়ে বিচারকের বিরুদ্ধে পক্ষপাতদুষ্টতার অভিযোগ তোলেন বিবেক।
ওড়িশা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি এস মুরলীধর (Justice S Muralidhar)-র বিরুদ্ধে করা মন্তব্যের জেরে, আদালত বিবেক অগ্নিহোত্রী, লেখক আনন্দ রঙ্গনাথন এবং নিউজ পোর্টাল স্বরাজ্যের বিরুদ্ধে অবমাননার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। গত ১৬ মার্চ মামলার শেষ শুনানিতে বিবেক অগ্নিহোত্রীকে সশরীরে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত।
বর্তমানে 'দ্য কাশ্মীর ফাইলস' সিনেমাটির জন্য বিশেষভাবে পরিচিত পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রী। নিজের আইনজীবীর মাধ্যমে তিনি ক্ষমা চেয়ে আদালতে হলফনামা জমা দিয়েছেন এবং জানিয়েছেন বিচারকের বিরুদ্ধে করা ট্যুইটটি তিনি ডিলিট করেছেন। তবে আদালতের Amicus Curiae-র পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বিবেক অগ্নিহোত্রী আদতে ট্যুইটটি ডিলিট করেননি, বরং ট্যুইটার কর্তৃপক্ষ এটি সরিয়ে নিয়েছে।
সম্প্রতি, এলগার পরিষদ মামলায় সমাজকর্মী গৌতম নভলাখাকে গৃহবন্দি থাকার নির্দেশ দেয় আদালত। তবে, তাঁর ট্রানজিট রিমান্ড বাতিল করার পরে বিবেক অগ্নিহোত্রী বিচারপতির সাথে নভলাখার পরিবারের সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন তোলেন এবং তাঁকে পক্ষপাতদুষ্ট বলেন। বিচারকের বিরুদ্ধে অপ্রীতিকর মন্তব্য করার জন্য আরএসএস (RSS) মতাদর্শে বিশ্বাসী এস গুরুমূর্তিরও নাম ছিল এই মামলায়। পরে ক্ষমা চাওয়ায় মামলা থেকে তাঁর নাম বাদ দেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, এলগার পরিষদ মামলায় ২০২০ সালে গ্রেফতার হন ৭০ বছর বয়সী গৌতম নভলাখা। পুনে পুলিশের দাবি, ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর পুনেতে অনুষ্ঠিত এলগার পরিষদ কনক্লেভে উষ্কানিমূলক বক্তব্য রাখেন নভলাখা। যার জেরে পরের দিন অর্থাৎ ২০১৮ সালের ১ জানুয়ারী পশ্চিম মহারাষ্ট্রের উপকণ্ঠে অবস্থিত কোরেগাঁও ভীমা যুদ্ধ স্মৃতিসৌধের কাছে সহিংস বিক্ষোভ সংঘঠিত হয়। যদিও এই অভিযোগের এখনও কোনও প্রমাণ দিতে পারেনি পুলিশ।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন