সরলা মেমোরিয়াল হলে আয়োজন করা হয় প্রয়াত চিত্রপরিচালক তরুণ মজুমদারের স্মরণসভা। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট অভিনেতা থেকে শুরু করে পরিচালকেরা। প্রয়াত পরিচালকের সাথে কাটানো স্বর্ণালী মুহূর্তগুলি উঠে আসে তাঁদের কথায়।
এ যেন ইতিহাসের পাতায় ফিয়ে যাওয়া। স্মৃতিরোমন্থনও বলা যেতে পারে। সকলকে কাঁদিয়ে তরুণ মজুমদার চলে গেলেও তিনি রয়ে গেছেন সকলের মনে। তাঁর উদ্দেশ্যে রবিবার সরলা মেমোরিয়ালে আয়োজন করা হয়ে এক স্মরণসভা। স্মৃতিচারণে আবেগবিহ্বল হয়ে পড়লেন বাংলার বিনোদন জগতের একঝাঁক বিশিষ্ট শিল্পীরা। ওই সভায় উপস্থিত ছিলেন, চন্দন সেন, অনীক দত্ত, কমলেশ্বর মুখার্জী, বিপ্লব চট্টোপাধ্যায়, পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায় সহ অন্যান্যরা।
ভারতীয় গণনাট্য সঙ্ঘ, পশ্চিমবঙ্গ গণতান্ত্রিক লেখক শিল্পী সঙ্ঘ, সংস্কৃতি সমন্বয়, পশ্চিমবঙ্গ আদিবাসী ও লোকশিল্পী সঙ্ঘ এবং জনবাদী লেখক সঙ্ঘের পক্ষ থেকে এই সভা আয়োজন করা হয়।
সভা চলাকালীন অভিনেতা চন্দন সেন বলেন, একবার তরুণ মজুমদারকে এক সভায় জিজ্ঞাসা করেছিলাম, স্যার আপনি এখানে! তিনি আমাকে বললেন, ১৯৪৯ সাল থেকে পশ্চিমবাংলাকে চিনি। তখন গ্রামের মানুষের জীবনযন্ত্রণা দেখেছি। ৭৭ সালের পর সেই মানুষকে দেখেছি মাথা উঁচু করে চলতে। ২০১১ সালের পর শাসকের রোষানলে অত্যাচারে সেই উন্নত শির আবার নত করা হচ্ছে।
বিপ্লব চট্টোপাধ্যায় বলেন, তরুণ মজুমদার আমাদের অভিভাবক ও শিক্ষক ছিলেন। তিনি এমনই একজন পরিচালক যিনি ছবি তৈরি করার আগে চরিত্রের মধ্যেকার যুক্তি বিশ্লেষণ করতেন। নিজের কাছে বোধগম্য হলে তবেই কাজ শুরু করতেন। তাঁর সিনেমার প্রতি বিশেষ দায়বদ্ধতা ছিল। তাছাড়া স্মরণসভায় বক্তব্য রাখেন অনীক দত্ত, কমলেশ্বর মুখার্জী, ড. অর্পিতা লাহিড়ী সহ অন্যান্য বিশিষ্টজনেরা।
উল্লেখ্য, ৪ জুলাই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন চিত্র পরিচালক তরুণ মজুমদার। কিডনি এবং হৃদযন্ত্রের সমস্যার কারণে মৃত্যু হয় তাঁর। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিলো ৯১ বছর।
তাঁর কয়েকটি উল্লেখযোগ্য সিনেমা হল, ‘কাঁচের স্বর্গ’, ‘গণদেবতা’, ‘বালিকা বধূ’, ‘শ্রীমান পৃথ্বীরাজ’, ‘দাদার কীর্তি’, ‘আপন আমার আপন’, ‘চাঁদের বাড়ি’, ‘ভালবাসা ভালবাসা’, ‘আলো’।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন