'খালিস্তানি' মন্তব্যের জের, দিল্লি বিধানসভা প্যানেলের তলব, আরও সময় চেয়ে আবেদন কঙ্গনার

নোটিশে বলা হয়েছে কঙ্গনা “ শিখদের খালিস্তানি সন্ত্রাসী তকমা দিয়ে, সমস্ত শিখ সম্প্রদায়কে অবমাননা করেছেন ... পাশাপাশি শিখ সম্প্রদায়ের মধ্যে অশান্তির বাতাবরণ সৃষ্টির চেষ্টা করেছেন।”
কঙ্গনা রানাউত
কঙ্গনা রানাউতফাইল চিত্র - সংগৃহীত
Published on

শিখদের বিরুদ্ধে বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউতকে দিল্লি বিধানসভার প্যানেল তলব করছিল। আম আদমি পার্টির নেতা রাঘব চাড্ডার নেতৃত্বাধীন কমিটির সামনে ৬ ডিসেম্বর অর্থাৎ আজ কঙ্গনাকে উপস্থিত হতে বলা হয়েছিল। কিন্তু কঙ্গনার আইনজীবী জানিয়েছেন কঙ্গনা আজকে উপস্থিত থাকতে পারবেন না। তাই আরও বেশি সময় চেয়ে আবেদন করেছেন তিনি।

কমিটির প্রধান প্রধান রাঘব চাড্ডা বলেছেন- “কঙ্গনা রানাউতের আইনজীবী, একটি চিঠিতে জানিয়েছেন যে অভিনেতা ব্যক্তিগত এবং পেশাদারিত্বের কারণে প্যানেলের সামনে উপস্থিত হতে পারবেন না। তিনি আরও সময় চেয়েছেন। আজকের মিটিং তাই বাতিল করা হল। পরবর্তী চিঠিতে কমিটি তার সিদ্ধান্ত অভিনেত্রীকে জানাবে।”

প্রসঙ্গত, ডেপুটি সেক্রেটারির স্বাক্ষরিত নোটিশে কঙ্গনাকে বলা হয়েছিল – “২০.১১.২০২১ তারিখে আপনার অফিসিয়াল ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে আপত্তিকর এবং অবমাননাকর মন্তব্য পোস্ট করা হয়েছে। পাশাপাশি অন্যান্য বিষয়েও অসংখ্য অভিযোগ পেয়েছে কমিটি ...।” সমন নোটিশে আরও বলা হয়েছে যে, কঙ্গনা “ শিখদের খালিস্তানি সন্ত্রাসী তকমা দিয়ে, সমস্ত শিখ সম্প্রদায়কে অবমাননা করেছেন ... পাশাপাশি শিখ সম্প্রদায়ের মধ্যে অশান্তির বাতাবরণ সৃষ্টির চেষ্টা করেছেন।”

অন্যদিকে, বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউতের ভবিষ্যতের সমস্ত সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট সেন্সর করতে চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে একটি আবেদন করা হয়েছে। অ্যাডভোকেট সরদার চরণজিৎ সিং চন্দরপালের দায়ের করা আবেদনটিতে বলা হয়েছে - রানাউতের পোস্টগুলিকে সেন্সর অথবা ডিলিট জন্য সমস্ত সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মকে নির্দেশ দেওয়া দরকার। দেশের আইন শৃঙ্খলার জন্য কঙ্গনার পোস্ট বিপজ্জনক।

আবেদনে আরও বলা হয়েছে – “ইন্সটাগ্রামের মতো সোশ্যাল মিডিয়ার প্ল্যাটফর্মে কঙ্গনা শিখদের ‘খালিস্তানি’ সন্ত্রাসী বলে বর্ণনা করেছেন। এমনকি ১৯৮৪ সালের শিখ বিরোধী দাঙ্গাকে সমর্থন করেছেন তিনি।”

আবেদনে দাবি করা হয়েছে, “কঙ্গনার মন্তব্য শুধুমাত্র আপত্তিকর এবং নিন্দাজনক নয়। বরং দাঙ্গা সৃষ্টি করা ও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার উদ্দেশ্যে করা। সেইসাথে শিখদের সম্পূর্ণরূপে দেশবিরোধী হিসাবে তুলে ধরা হয়েছে। নিরীহ শিখকে খুন করার মান্যতাও দেয় এই মন্তব্যগুলি। আমাদের দেশের ঐক্যের পরিপন্থী এই মন্তব্যের জন্য কঙ্গনা শান্তি পাওয়া উচিৎ”।

কঙ্গনা রানাউত
শিখদের বিরুদ্ধে অপমানজনক মন্তব্য, সোশ্যাল মিডিয়ায় কঙ্গনাকে 'Censor' করতে আবেদন সুপ্রিম কোর্টে

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in