১০০০ কোটির আর্থিক প্রতারণার সাথে নাম জড়ালো অভিনেতা গোবিন্দার। যদিও সমস্ত অভিনেতার তরফ থেকে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।
অনলাইন 'পঞ্জি' দুর্নীতিতে গোবিন্দার নাম আসতেই সকলে কার্যত অবাক হয়েছেন। শোনা যাচ্ছে সোলার টেকন অ্যালায়েন্স নামের একটি সংস্থা ক্রিপ্টো কারেন্সির ব্যবসা করে। ওই ব্যবসাকে সামনে রেখেই বিভিন্ন দেশে দুর্নীতির ফাঁদ পাতছে। সেই সংস্থার হয়ে নাকি একাধিক বিজ্ঞাপনের কাজ করেছেন গোবিন্দা। সেই কারণেই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন রয়েছে বলে জানিয়েছে ওড়িশার আর্থিক অপরাধ দমন শাখার আধিকারিকরা।
গোবিন্দার ম্যানেজার শশী সিনহা বলেন, "মামলার সঙ্গে গোবিন্দার কোনও সম্পর্ক নেই। গোবিন্দা একটি ইভেন্টের জন্য এক এজেন্সির মাধ্যমে গিয়েছিলেন এবং ফিরেও এসেছিলেন। ওই সংস্থার ব্যবসা বা ব্র্যান্ডিংয়ের সাথে আমাদের কোনও সম্পর্ক নেই। মিডিয়ায় সমস্ত অর্ধ-সত্য খবর ছড়ানো হচ্ছে"।
ওড়িশার আধিকারিকরা অবশ্য গোবিন্দাকে অভিযুক্ত হিসেবে দেখছেন না। আর্থিক অপরাধ দমন শাখার এক আধিকারিক বলেন, 'সূত্র মারফত জানা গেছে সংস্থার তরফে অতিরিক্ত লোককে নিযুক্ত করানোর টোপ দেওয়া হতো। যাঁরা বেশি সংখ্যক সদস্যকে সংস্থার সাথে যুক্ত করতেন তাঁদের অতিরিক্ত টাকা দেওয়া হতো। তদন্তে নেমেই আমরা জানতে পারি ওই সংস্থার একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ৩০ জুলাই গোয়ায় গিয়েছিলেন অভিনেতা গোবিন্দা। সেই কারণে তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হবে। ওড়িশা থেকে একতি প্রতিনিধি দল যাবে মুম্বইতে। সেখানেই তাঁকে জেরা করা হবে। প্রয়োজনে গোবিন্দাকে সাক্ষী হিসেবে মামলায় ব্যবহার করা হবে'।
তিনি আরও জানান, 'উচ্চ আদালতের তরফ থেকে গয়েন্দা রিপোর্ট পাওয়ার পর আমরা ওই সংস্থার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছি। অভিযোগ ওঠে যে, ওই সংস্থা নিজস্ব টোকেন চালু করেছে। নাম দেওয়া হয়েছে STA টোকেন। ভদ্রকের কাছে প্রচারও করা হচ্ছে। ওই টোকেনের মাধ্যমে ব্যবসা চালানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে। মূলত চেইন পদ্ধতিতে ব্যবসা ছড়াতে চায় তারা'।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন