'ডিভাইন টাইডস' অ্যালবামের জন্য নিজের তৃতীয় গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ড জিতলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত সুরকার রিকি কেজ। বেস্ট ইমারসিভ অডিও অ্যালবাম বিভাগের জন্য মনোনীত হয়েছিল তাঁর অ্যালবামটি।
আমেরিকার লস অ্যাঞ্জেলসের ক্রিপটো.কম এরিনাতে ৬৫তম গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ডের অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়েছিল। একাধিক দেশের সুরকার থেকে প্রযোজক সকলেই উপস্থিত ছিলেন। সেখানে নিজের তৃতীয় গ্র্যামি গ্রহণ করেন রিকি। রিকি হলেন চতুর্থ ভারতীয় যিনি গ্র্যামি পুরস্কার জিতেছেন এবং ভারতীয় বিজেতাদের মধ্যে সর্বকনিষ্ঠ। তৃতীয় গ্র্যামি পুরস্কার জিতে উচ্ছ্বসিত রিকি।
গ্র্যামি সম্মানে সম্মানিত হওয়ার পর তিনি লেখেন, "আমি অত্যন্ত কৃতজ্ঞ সকলের কাছে। নিজের তৃতীয় গ্র্যামি পুরস্কার জিতে আমি বাকরুদ্ধ।"
রিকি কেজের অ্যালবামটি তৈরি করা হয়েছে বিশ্বের প্রকৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের জন্য। অ্যালবামটিতে ৯টি গান ও ৮টি মিউজিক ভিডিও রয়েছে। যেগুলির মাধ্যমে একজন ব্যক্তি ভারতের হিমালয় থেকে স্পেনের তুষারাবৃত অরণ্যের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য সম্পর্কে জানতে পারবেন। অ্যালবামটি তিনি রক অ্যান্ড রোল কিংবদন্তি স্টুয়ার্ট কোপল্যান্ডের সাথে যৌথ ভাবে বানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, এর আগে ২০১৫ সালে 'উইন্ডস অফ সামসারা'-র জন্য গ্র্যামি জিতেছিলেন রিকি। ২০২২ সালেও ডিভাইন টাইডসের জন্য বেস্ট নিউ এজ অফ অ্যালবাম বিভাগে গ্র্যামি পুরস্কার জেতেন তিনি।
রিকি ১৯৮১ সালে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। বেঙ্গালুরুর বিশপ কটন বয়েজ স্কুল থেকে তাঁর পড়াশোনা। পরে অক্সফোর্ড ডেন্টাল কলেজ থেকে ডিগ্রি অর্জন করেন। বেঙ্গালুরুর প্রগতিশীল রক ব্যান্ড অ্যাঞ্জেল ডাস্টের কীবোর্ড আর্টিস্ট হিসাবে কর্মজীবন শুরু করেছিলেন কেজ। দু'ছর ব্যান্ডে কাজ করার পর তিনি সুরকার হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে থাকেন। ২০০৩ সালে নিজের স্টুডিও স্থাপন করেন। তিনি ৩৫০০-র বেশি জিঙ্গেলসও বানিয়েছেন। এমনকি ২০১১ সালে বাংলাদেশে হওয়া ক্রিকেট বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মিউজিক কম্পোজার ছিলেন তিনি।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন