অভিনেত্রী-সাংসদ জয়া বচ্চনের রাগ যে নাগের ডগায় থাকে, তা বারংবার প্রকাশ্যে এসেছে। আর এবার সংসদেই মেজাজ হারালেন তিনি। তাঁর নামের সঙ্গে স্বামী অমিতাভ বচ্চনের নাম জুড়ে দিতেই রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যানের উপর রেগে গেলেন অভিনেত্রী।
রাজ্যসভায় চলছে বাজেট অধিবেশন। চলমান অধিবেশনে বক্তৃতা দেওয়ার জন্য রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান হরিবংশ নারায়ণ সিং সাংসদ জয়া বচ্চনের নাম বলার সময় তাঁর নামের সঙ্গে স্বামীর নাম জুড়ে দিয়ে বলেন, ‘‘অনুরোধ করছি জয়া অমিতাভ বচ্চনকে বলার জন্য।’’ ব্যাস তাতেই আপত্তি সমাজবাদী পার্টির সাংসদের। ডেপুটি চেয়ারম্যানকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, "স্যার, শুধু জয়া বচ্চন বললেই যথেষ্ট ছিল।"
এর উত্তরে হরিবংশ নারায়ণ সিং যখন উল্লেখ করেন, সমস্ত সরকারি রেকর্ডে তাঁর নাম 'জয়া অমিতাভ বচ্চন'ই রয়েছে, তার উত্তরে অভিনেত্রী-সাংসদ জানান, ‘‘এই যে নতুন একটা প্রবণতা শুরু হয়েছে যে মহিলারা স্বামীর নামেই পরিচিত হবেন, যেন ওঁদের নিজেদের কোনও অস্তিত্ব নেই। ওঁর কোনও নিজের উপলব্ধি নেই। এই যেটা নতুন শুরু হয়েছে, এটা বিরক্তিকর।’’
জয়া বচ্চন বরাবরই মহিলাদের অস্তিত্ব নিয়ে সবর হয়েছেন। মেয়েদের যে স্বামীর পরিচয়ের বাইরেও নিজের একটা পরিচয় আছে, একটা অস্তিত্ব আছে, সেই দাবি তুলে বরাবর সোচ্চার হয়েছেন অভিনেত্রী। এবার সংসদেও সেই নিয়ে সরব হলেন তিনি।
সংসদের এই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই মিশ্র প্রতিক্রিয়া মিলছে। কেউ কেউ অভিনেত্রী-সাংসদকে সমর্থন করছেন আবার কেউ কেউ বিরোধিতা। এক্স হ্যান্ডেলে এক ব্যবহারকারী প্রতিক্রিয়া জানিয়ে লিখেছেন, “জয়া বচ্চনের সঙ্গে আমাদের মতভেদ থাকতে পারে। কিন্তু তিনি প্রথমে জয়া ভাদুড়ি এবং পরে জয়া বচ্চন নামে পরিচিত। তাঁর স্বামীর বাইরেও তাঁর একটি পরিচিয় আছে। একটা সময় ছিল যখন তিনি তাঁর স্বামীর চেয়ে বেশি পরিচিত ছিলেন। তাই সহজেই তিনি সংসদে পৌঁছাতে পেরেছেন।"
১৯৭৩ সালের ৩ জুন জয়া বচ্চন বিয়ে করেন বলিউডের বিগবি অমিতাভ বচ্চনকে। ২০০৪ সালে সমাজবাদী পার্টির প্রতীকে উত্তরপ্রদেশের হয়ে রাজ্যসভার সাংসদ নিযুক্ত হন। বর্তমানে তিনি পঞ্চমতম রাজ্যসভার সাংসদ।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন