প্রয়াত বর্ষীয়ান অভিনেত্রী তথা যীশু সেনগুপ্তের শাশুড়ি অঞ্জনা ভৌমিক। শনিবার সকালে দক্ষিণ কলকাতার একটি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর। বহুদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন তিনি। শুক্রবার রাতে শ্বাসকষ্টের কারণে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। তাঁর মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
শনিবার সকাল ১০.৩০ টা নাগাদ প্রয়াত হন অঞ্জনা ভৌমিক। মায়ের প্রয়াণে ভেঙ্গে পড়েছেন দুই মেয়ে নীলাঞ্জনা ও চন্দনা। জানা গেছে, সেনগুপ্ত পরিবারের সকলের পাশাপাশি অরিন্দম শীল, সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের মতো ইন্ডাস্ট্রির ব্যক্তিত্বরা তাঁকে শেষ বারের মতো দেখতে আপতত হাসপাতালেই।
শোকবার্তায় মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, ‘‘তিন দশক ধরে বাংলা চলচ্চিত্রে তাঁর অসামান্য অভিনয় আজও দর্শকদের মনে অমলিন। তাঁর মৃত্যুতে অভিনয় জগতের অপূরণীয় ক্ষতি হল। আমি অঞ্জনা ভৌমিকের পরিবার-পরিজন ও অনুরাগীদের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি।’’
অভিনেত্রীর জন্ম ১৯৪৪ সালে, কোচবিহারে। তাঁর নাম ছিল আরতি ভৌমিক। ২০ বছর বয়সে অভিনয় জগতে আসেন তিনি। তাঁর অভিষেক হয় ‘অনুষ্টুপ ছন্দ’ ছবির মাধ্যমে। তবে প্রথম ছবি মুক্তির আগেই তিনি নাম বদলে হন অঞ্জনা। উত্তম কুমারের সঙ্গে তাঁর জুটি প্রশংসিত সর্বত্র। নিজের কেরিয়ারের অধিকাংশ ছবিই করেছে মাহনায়কের সঙ্গে। অবশ্য সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গেও ‘মহাশ্বেতা’ ছবিতে তাঁর অভিনয় নজর কাড়ে দর্শক ও সমালোচকদের।
‘চৌরঙ্গী’, ‘থানা থেকে আসছি’, ‘নায়িকা সংবাদ’-এর মতো ছবিতে তাঁর অভিনয় এখনও মনে রেখেছেন দর্শক। তাঁর এবং উত্তম কুমারের পর্দার রসায়ন দর্শকের ছিল খুব প্রিয়। অঞ্জনা বহু বছর ধরেই ছিলেন অন্তরালে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন