বিজেপি ঘনিষ্ঠ কঙ্গনা রানাওয়াতের দিকে এবার সমালোচনা ধেয়ে এলো বিজেপির ঘর থেকেই। দলীয় সাংসদ বরুণ গান্ধী কঙ্গনার মন্তব্যকে ধিক্কার জানালেন। সম্প্রতি পদ্মশ্রী পেয়েছে কঙ্গনা রানাওয়াত। এরপরেই এক টিভি শোতে তিনি বলেন, ‘ভারত আসল স্বাধীনতা পেয়েছে ২০১৪ সালে’। ইতিমধ্যেই বিজেপি ঘনিষ্ঠ কঙ্গনার এই মন্তব্যে দেশজুড়ে সমালোচনার ঝড়।
বৃহস্পতিবার কঙ্গনার মন্তব্য প্রসঙ্গে বরুণ গান্ধী বলেন, যে স্বাধীনতা সংগ্রামীরা নিজেদের জীবনের বিনিময়ে দেশের স্বাধীনতা এনেছেন এই মন্তব্য দেশের সেইসব স্বাধীনতা সংগ্রামীদের অপমান। কঙ্গনার ভিডিও নিজের ট্যুইটারে শেয়ার করে বিজেপি সাংসদ বলেন – আমি বুঝতে পারছিনা তাঁর এই মন্তব্যকে ‘পাগলামি’ বলবো, নাকি ‘দেশদ্রোহিতা’ বলবো।
এদিন বরুণ গান্ধী বলেন, এর আগে কঙ্গনা মহাত্মা গান্ধীকে অপমান করেছেন। তাঁর ত্যাগকে অস্বীকার করেছেন। তাঁর হত্যাকারীকে সম্মান জানিয়েছেন। এখন শহিদ মঙ্গল পান্ডে, রানী লক্ষ্মীবাঈ, ভগত সিং, চন্দ্রশেখর আজাদ, নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু এবং লাখে লাখে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের উনি অপমান করছেন। এই মন্তব্যকে কি পাগলামি বলবো, নাকি দেশদ্রোহিতা বলব?
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি এক টিভি শোতে সদ্য পদ্মশ্রী পাওয়া বিজেপি ঘনিষ্ঠ বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াত বলেন, ভারত ১৯৪৭-এ যে স্বাধীনতা পেয়েছিলো তা আসলে ‘ভিক্ষা’। ভারত আসল স্বাধীনতা পেয়েছে ২০১৪ সালে। বলা বাহুল্য, কঙ্গনার বক্তব্যের উদ্দেশ্য ছিলো ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির জয়।
অন্যদিকে বিজেপি সাংসদ প্রকাশ্যেই দেশের কৃষক আন্দোলনে কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। একাধিকবার তাঁর ট্যুইটে আক্রমণের শিকার হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার এবং বিজেপি নেতৃত্ব। অতি সম্প্রতি লখিমপুর খেরির নৃশংস ঘটনার পর তিনি বিজেপির সমালোচনা করেন। এরপরেই তাঁকে বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতি থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। যদিও এরপরেও বরুণকে থামানো যায়নি। তিনি এখনও যে কোনো বিতর্কিত বিষয়ে সরকারের কড়া সমালোচনা করে চলেছেন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন