পরোক্ষভাবে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডেকে ‘বিশ্বাসঘাতক’ বলে মন্তব্য করেছিলেন জ্যোতির্মঠের শঙ্করাচার্য স্বামী অভিমুক্তেশ্বরানন্দ সরস্বতী। এবার একনাথ শিন্ডের পাশে দাঁড়িয়ে শঙ্করাচার্যর বিরুদ্ধে সরব হলেন অভিনেত্রী-সাংসদ কঙ্গনা রানাউত। বললেন, “একজন রাজনীতিবিদ রাজনীতি করবে না তো কি ফুচকা বিক্রি করবেন?”
বৃহস্পতিবার নিজের এক্স হ্যান্ডেলে পোষ্ট করে অভিনেত্রী-সাংসদ কঙ্গনা রানাউত লেখেন, "রাজনীতিতে জোট, চুক্তি বা একটি দলের ভাগ হওয়া খুবই স্বাভাবিক এবং সাংবিধানিক ঘটনা। কংগ্রেস পার্টি ১৯০৭ সালে এবং ১৯৭১ সালে বিভক্ত হয়েছিল। একজন রাজনীতিবিদ যদি রাজনীতি না করেন তবে তিনি কি ফুচকা বিক্রি করবেন?"
তিনি আরও লেখেন, "ধর্ম এটাও বলে যে রাজা নিজেই যদি তাঁর প্রজাদের শোষণ করা শুরু করেন, তাহলে রাষ্ট্রদ্রোহই চূড়ান্ত ধর্ম।“
মান্ডির সাংসদ বলেছেন, স্বামী অভিমুক্তেশ্বরানন্দ এই ধরনের "তুচ্ছ" মন্তব্য করে হিন্দু ধর্মকে অপমান করেছেন। তাঁর কথায়, "শঙ্করাচার্য জি তাঁর শব্দ এবং তাঁর প্রভাবের অপব্যবহার করছেন। তিনি মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডেকে বিশ্বাসঘাতক বলে তাঁর (শিন্ডের) বিরুদ্ধে অবমাননাকর শব্দ ব্যবহার করে আমাদের সকলের অনুভূতিতে আঘাত করেছেন। হিন্দু ধর্মের মর্যাদা ক্ষুন্ন করছেন।"
উল্লেখ্য, চলতি সপ্তাহে শিবসেনা (ইউবিটি) নেতা তথা মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের বাসভবনে গিয়েছিলেন স্বামী অভিমুক্তস্বরানন্দ। এরপর তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, ‘‘উদ্ধব ঠাকরে বিশ্বাসঘাতকতার স্বীকার। যাঁরা বিশ্বাসঘাতকতা করেন, হিন্দুধর্ম তাঁদের মেনে নেয় না। যিনি বিশ্বাসঘাতকতা করেন, তিনি হিন্দু হতে পারেন না। মহারাষ্ট্রের মানুষ তাঁকে (উদ্ধবকে) আবার মুখ্যমন্ত্রী বানিয়েই এই বিশ্বাসঘাতকতার জবাব দেবেন।’’
সেখানেই তিনি কেদারনাথ মন্দিরের ২২৮ কেজি সোনা গায়েবের প্রসঙ্গও তোলেন, যা নিয়ে তীব্র বিতর্ক শুরু হয়েছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন