ফের বিতর্কে জড়ালেন বলিউড অভিনেত্রী তথা হিমাচল প্রদেশের মান্ডির বিজেপি সাংসদ কঙ্গনা রানাউত। মহাত্মা গান্ধীর জন্মবার্ষিকীতে বিতর্কিত পোষ্ট করে শিরোনামে এলেন তিনি। কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বিজেপি সাংসদের এই মন্তব্যের তীব্র বিরোধীতা করা হয়েছে। সমালোচনা করেছে বিজেপিও।
বুধবার ছিল মহাত্মা গান্ধী এবং প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী লালবাহাদুর শাস্ত্রীর জন্মদিন। এদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় হিন্দিতে কঙ্গনা লেখেন, 'দেশ কে পিতা নহি, দেশ কে লাল হোতে হ্যায়। ধন্য হ্যায় ভারত মা কে ইয়ে লাল।' যার বাংলা তর্জমা করলে হয়, “দেশের পিতা বলে কিছু হয় না, দেশের সন্তান হয়। ভারত মায়ের সন্তানরা ধন্য।“
মহাত্মা গান্ধীকে জাতির জনক বলা হয়। মহাত্মা গান্ধী এবং লাল বাহাদুর শাস্ত্রীর মধ্যে তুলনা করেছেন অভিনেত্রী বলে অভিযোগ ওঠে। সেই নিয়ে কঙ্গনার তীব্র নিন্দা করেন কংগ্রেস নেত্রী সুপ্রিয়া শ্রীনেত। তাঁর বক্তব্য, “বিজেপি সাংসদ কঙ্গনা মহাত্মা গাঁধীকে তাঁর জন্মবার্ষিকীতে অশালীন ভাবে বিদ্রুপ করেছেন। বাপু এবং শাস্ত্রীজির মধ্যে পার্থক্য বুঝিয়েছেন গডসের পূজারী। দলের নতুন গডসে পূজারীকে কি মন থেকে ক্ষমা করে দেবেন নরেন্দ্র মোদি? জাতির জনক, দেশমাতার সন্তান এবং শহিদ, প্রত্যেকের সম্মান প্রাপ্য।“
অন্যদিকে, কঙ্গনার এই মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেছেন পাঞ্জাবের বিজেপি নেতা মনোরঞ্জন কালিয়া। তাঁর কথায়, "১৫৫তম গাঁধী জয়ন্তীতে কঙ্গনা রানাউত মহাত্মাকে নিয়ে যে মন্তব্য করেছেন, তার তীব্র নিন্দা করছি। স্বল্পমেয়াদি রাজনৈতিক কেরিয়ারে বিতর্কিত মন্তব্য করা অভ্যাসে পরিণত করেছেন উনি। রাজনীতি ওঁর জন্য উপযুক্ত নয়। রাজনীতি অত্যন্ত গুরুগম্ভীর বিষয়। কিছু বলার আগে ভাবনাচিন্তা করা উচিত। ওঁর বিতর্কিত মন্তব্য দলকে অস্বস্তিতে ফেলছে।"
এই বিতর্কের মাঝে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হচ্ছে কঙ্গনার একটি পুরানো পোষ্ট। ২০২১ সালে কঙ্গনা মহাত্মা গান্ধীর হত্যাকারী নাথুরাম গডসের ছবি পোষ্ট করে তিনি লেখেন, “প্রত্যেক কাহিনির তিনটি দিক রয়েছে, একটা আপনার, একটা আমার, আর একটা সত্যের। ভাল গল্প বলতে জানলে কিছুর অঙ্গীকারও করেন না, কিছু লুকোনও না। আমাদের পাঠ্যবইগুলি একেবারে অকেজো। শুধু ব্যাখ্যায় ভরা।“
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন