মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির উপস্থিতিতেই নিজের ক্যারিয়ারের জন্য বামফ্রন্ট সরকারকে ধন্যবাদ জানালেন অনিল কাপুর। মঙ্গলবার ২৯তম কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে এসে বাম সরকারের প্রশংসা করতে শোনা গেল তারকা অভিনেতাকে।
মঙ্গলবার কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধন হয়েছে। যেখানে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, অভিনেতা সালমন খান, অনিল কাপুর, শত্রুঘ্ন সিনহা, সোনাক্ষ্মী সিনহা, মহেশ ভাট থেকে শুরু করে সৌরভ গাঙ্গুলি, পরিচালক সন্দীপ রায় সহ একাধিক বিশিষ্ট জন উপস্থিত ছিলেন। সেই মঞ্চেই বক্তব্য রাখেন অনিল কাপুর। কলকাতাই যে তাঁর অভিনয় জীবনের ভিত শক্ত করেছিল তা তিনি বার বার স্মরণ করতে থাকেন।
অনিল কাপুর বলেন, "৪২-৪৩ বছর আগে মুম্বই থেকে হাওড়ায় এসেছিলাম ট্রেনে করে। সেখান থেকে বাসে করে যাই বালিগঞ্জের একটি গেস্ট হাউজে। একটি সিনেমা করি কলকাতায়। ছবির নাম ছিল 'কাঁহা কাঁহা সে গুজর গ্যায়া'। পরিচালক ছিলেন এমএস সথ্যু। ওই সিনেমাতে আমি প্রথম মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করি"।
তিনি আরও বলেন, 'ওই সময় সিনেমা কীভাবে হবে তা নিয়ে বেশ জটিলতা তৈরি হয়েছিল। কিন্তু আমার বলতে দ্বিধা নেই তৎকালীন পশ্চিমবঙ্গ সরকার যদি আমাদের ছবির প্রযোজনা না করতো তাহলে আমি অনিল কাপুর হতে পারতাম না। আমার ক্যারিয়ার তৈরি হতো না। কলকাতা আমার ভালোবাসার শহর। কলকাতার পথঘাট ছিল আমার খেলার মাঠ'।
উল্লেখ্য, সেই সময় রাজ্যে সবে বামফ্রন্ট সরকার ক্ষমতায় এসেছে। রাজ্যের তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের মন্ত্রী ছিলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। তিনি সিদ্ধান্ত নেন ওই ছবির প্রযোজনা করবে রাজ্য সরকার। প্রশাসন সূত্রে খবর শুধু অনিল কাপুরের ওই একটি সিনেমা নয় আরও অনেক কালজয়ী সিনেমার পেছনে বামফ্রন্ট সরকারের বিশেষ অবদান রয়েছে। যেমন সত্যজিৎ রায়ের 'হীরক রাজার দেশে' সিনেমাটির প্রযোজক ছিল রাজ্য সরকার। তাছাড়া পরিচালক গৌতম ঘোষের 'দখল' ছবিটিও রাজ্য সরকারের প্রযোজনার নির্মিত।
অন্যদিকে, ২৯ তম কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবে থিম কান্ট্রি হিসেবে রাখা হয়েছে স্পেনকে। মোট ৩৯টি দেশের সিনেমা দেখানো হবে এই উৎসবে। তাছাড়া রয়েছে একাধিক ডক্যুমেন্টারি সিনেমা এবং শর্ট ফিল্মও প্রদর্শিত হবে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন