মাধ্যমিক পরীক্ষা হচ্ছে না। সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছে রাজ্য সরকার। করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই এবারের পরীক্ষা বাতিল করা হল বলে রাজ্য সরকার জানিয়েছে। সিবিএসসি, আইসিএসসি পরীক্ষা আগেই বাতিল করা হয়েছিল। এবার সেই পথে হাঁটল রাজ্য। পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে অবশ্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জনমত নিয়েছিলেন। তাতে ৮৩ শতাংশ মানুষ পরীক্ষার বিপক্ষে মত দিয়েছিলেন বলে তিনি জানিয়েছেন। সেই জনমতের ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।
এই সিদ্ধান্ত নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন সমাজের সব স্তরের মানুষই। রাজ্যের এই পদক্ষেপের ঘোরতর বিরোধিতা করে অভিনেতা অনির্বাণ ভট্টাচার্য ইনস্টাগ্রামের স্টোরিতে লিখেছেন, ‘যাক, পরীক্ষা-টরীক্ষা বাতিল হয়ে গিয়েছে। এবার পুরভোটের দিনক্ষণ ঠিক করা যাক। জাতির অগ্রগতি যেন থেমে না থাকে।’ অভিনেতাকে সমর্থন জানিয়েছেন নেট-নাগরিকদের একটা অংশ।
সোমবার এক বিবৃতিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ‘করোনা মহামারীতে পরীক্ষার্থীদের কথা ভেবে পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। রাজ্যবাসীর কাছে মতামত চাওয়া হয়েছিল। তাতে বেশিরভাগ মানুষ পরীক্ষা বাতিলের পক্ষেই সায় দিয়েছেন।’
মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক হল এমন দুটি পরীক্ষা, যার ওপর ভিত্তি করে ভবিষ্যৎ সমাজব্যবস্থায় বিভিন্ন ক্ষেত্রে কারিগর গড়ে ওঠে। তাই অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন শিক্ষক মহলও। পরীক্ষা বাতিল হওয়া মানে শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যত নিয়ে ছেলেখেলা। যার ফলে উদ্বিঘ্ন হয়ে পড়েছেন তাঁদের অভিভাবকরাও।
যেখানে এক মাসেরও বেশি সময় ধরে নির্বাচন হতে পারল, সেখানে অন্য কোনও ভাবে কি মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা ব্যবস্থা করা যেত না? এমনটাই প্রশ্ন সবার। মঙ্গলবারই পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত শুনে অবসাদে দিনহাটার এক ছাত্রীর আত্মহত্যার কথা প্রকাশ্যে এসেছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন