পদের অপব্যবহার করে বেআইনি উপায়ে অর্থ রোজগারের অভিযোগ উঠলো বিহারের আইপিএস অফিসার অমিত লোধার বিরুদ্ধে। সম্প্রতি, নেটফ্লিক্সে 'খাকি: দ্য বিহার চ্যাপ্টার' মুক্তি পাওয়ার পরে ভূয়সী প্রশংসা অর্জন করেছিলেন লোধা। যদিও এরপরেই আর্থিক লাভের জন্য নিজের পদ ব্যবহারের অভিযোগে ইতিমধ্যেই বিতর্কের শিরোনামে উঠে এসেছেন তিনি।
বিহার পুলিশের অর্থনৈতিক অপরাধ দমন শাখার দায়ের করা অভিযোগ অনুসারে, সরকারি পদের অপব্যবহার করে নেটফ্লিক্সের সাথে বাণিজ্যিক চুক্তি করেছেন অমিত লোধা। ইতিমধ্যেই তাঁকে আইজি পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রের খবর, প্রোডাকশন হাউস ফ্রাইডে স্টোরি টেলারের সাথে লোধার চুক্তি হয়েছিল মাত্র ১ টাকার। অথচ পুলিশের দাবি অনুযায়ী, প্রোডাকশন হাউসের সঙ্গে চুক্তি চূড়ান্ত হওয়ার আগেই তাঁর স্ত্রীর অ্যাকাউন্টে ৪৯ লক্ষ টাকা লেনদেন হয়েছে।
এফআইআর-এ আরও বলা হয়েছে, "গয়াতে পুলিশের মহাপরিদর্শক হিসেবে পদোন্নতি হওয়ার পর থেকেই অমিত লোধা 'অবৈধভাবে' উপার্জন শুরু করেছিলেন। অমিত লোধা একজন প্রতিষ্ঠিত গল্পকার নন, তাঁকে বই লেখার এবং বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে সেটা ব্যবহার করার অনুমতিও দেওয়া হয়নি।"
সরকারি বিবৃতি অনুযায়ী, আইপিএস অফিসারের পদে থাকাকালীন অমিত লোধা আর্থিক লাভের জন্য স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম এবং প্রোডাকশন হাউস ফ্রাইডে স্টোরি টেলারের সাথে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেন। বিভাগীয় তদন্ত চলাকালীন তাঁর বিরুদ্ধে যাবতীয় দুর্নীতির অভিযোগগুলি সত্যি বলে প্রমাণ হয়েছে।
সেই প্রমাণগুলির ভিত্তিতেই গত ৭ ডিসেম্বর তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। মূলত দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন অনুযায়ী ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২০বি এবং ১৬৮ ধারা সহ স্পেশাল ভিজিল্যান্স ইউনিট দ্বারা লোধার বিরুদ্ধে মামলাটি নথিভুক্ত করা হয়েছে। এ বিষয়ে আরও তদন্ত করবেন একজন ডেপুটি সুপারিন্টেনডেন্ট।
অভিযোগের কয়েক ঘন্টা পরে নিজস্ব ট্যুইটে অমিত লিখেছেন, "কখনও কখনও জীবন আপনাকে সবচেয়ে কঠিন চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিতে পারে। বিশেষ করে যখন আপনি সঠিক পথে থাকেন। এই সময়ে আপনার চরিত্রের শক্তি প্রতিফলিত হয়। বিজয়ী হতে আপনাদের প্রার্থনা এবং সমর্থন প্রয়োজন।"
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন