গুরুতর অসুস্থ বর্ষীয়ান সঙ্গীত শিল্পী প্রতুল মুখ্যোপাধ্যায়। দীর্ঘদিন ধরেই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শিল্পী। শিল্পীর অসুস্থতার খবর শুনে সোমবার হাসপাতালে তাঁকে দেখতে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বেশ কিছুক্ষণ শিল্পীর সাথে সময় কাটান মুখ্যমন্ত্রী। তাঁকে গানও শোনান শিল্পী। আপাতত, চিকিৎসকদের কড়া নজরে রয়েছেন প্রতুল মুখোপাধ্যায়।
সোমবার বিকাল পৌনে পাঁচটার সময় এসএসকেএম হাসপাতালে পৌঁছান মুখ্যমন্ত্রী। গানও শুনিয়েছেন তিনি। নিজের ফেসবুকে সেই ভিডিও শেয়ার করে শিল্পীর দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই গানের ভিডিও ফেসবুকে শেয়ার করে লেখেন, ”শিল্পী প্রতুল মুখোপাধ্যায়ের কণ্ঠে 'আমি বাংলায় গান গাই' বরাবরই এক দারুণ অভিজ্ঞতা। এসএসকেএম-এ তাঁকে দেখতে গিয়ে সেই কণ্ঠ শুনে মন ভরে গেল আনন্দে। শিল্পী ধীরে ধীরে সুস্থ হচ্ছেন, এটা সত্যিই খুশির খবর। তাঁর দ্রুত সুস্থতা কামনা করি।”
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, শিল্পী বার্ধক্যজনিত সমস্যা, নিউমোনিয়া, ফুসফুসের সংক্রমণে ভুগছেন। তাঁকে এসএসকেমের উডবার্ন ব্লকে রাখা হয়েছে।
প্রতুল মুখ্যোপাধ্যায় বহু বিখ্যাত গান করেছেন। তাঁর মধ্যে জনপ্রিয় হল ‘আমি বাংলার গান গাই’। এ ছাড়াও শিল্পীর ‘ডিঙা ভাসাও সাগরে’ গানটিও বাঙালির মনে চিরকাল থাকবে। পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন গণ-আন্দোলনে প্রতুল মুখোপাধ্যায় অনেক দিন থেকেই অগ্রপথিকের ভূমিকা পালন করেছেন।
বাংলা চলচ্চিত্র ‘গোঁসাইবাগানের ভূত’-এ প্লেব্যাক করেছেন প্রতুল মুখোপাধ্যায়। তাঁর অন্যান্য অ্যালবামগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘পাথরে পাথরে নাচে আগুন’ (১৯৮৮), ‘যেতে হবে’ (১৯৯৪), ‘ওঠো হে’ (১৯৯৪), ‘কুট্টুস কাট্টুস’ (১৯৯৭), ‘স্বপ্নের ফেরিওয়ালা’ (২০০০), ‘তোমাকে দেখেছিলাম’ (২০০০), ‘স্বপনপুরে’ (২০০২), ‘অনেক নতুন বন্ধু হোক’ (২০০৪), ‘হযবরল’ (২০০৪), ‘দুই কানুর উপাখ্যান’ (২০০৫), ‘আঁধার নামে’ (২০০৭)।
এছাড়াও প্রতুল মুখোপাধ্যায়কে নিয়ে তৈরি হয়েছে তথ্যচিত্র — অন্বেষণ প্রযোজিত ও মানস ভৌমিক পরিচালিত ‘প্রতুল মুখোপাধ্যায়ের গান’ এবং সমকালীন চলচ্চিত্র প্রযোজিত ‘ডিঙা ভাসাও’।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন