আরিয়ান খান, তাঁর বন্ধু আরবাজ মার্চেন্ট এবং মুনমুন ধামেচার বিরুদ্ধে নারকোটিক্স ড্রাগ অ্যান্ড সাইকোট্রপিক সাবস্ট্যান্স অ্যাক্ট অনুসারে কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। গত ২৮ অক্টোবর বোম্বে হাইকোর্টে বিচারপতি নীতিন সামব্রে এই তিনজনের জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেন। ওই নির্দেশিকার বিস্তারিত কপি আজই প্রকাশ্যে এসেছে।
আরিয়ান খান এবং তাঁর অন্য দুই বন্ধুর বিরুদ্ধে এনডিপিসি আইনের ধারা ৮(সি), ধারা ২০(বি), ধারা ২৭, ২৮, ২৯ এবং ৩৫ অনুসারে অভিযোগ দায়ের করা হয়। বোম্বে হাইকোর্টের জামিনের আদেশ অনুসারে ক্রুইজ শিপ ড্রাগ কেসে এঁদের বিরুদ্ধে কোনো তথ্যপ্রমাণ পাওয়া যায়নি।
আদালত জানিয়েছে, পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে ওই ঘটনায় কোনো চক্রান্ত ছিলো না। আদালত আরও জানিয়েছে আরিয়ান খানের সঙ্গে আরবাজ মার্চেন্ট থাকলেও ধামেচা তাঁদের সঙ্গে ছিলেন না। তিনি একক ভাবে ওই ক্রুইজ শিপে ভ্রমণ করছিলেন।
আদালত আরও জানিয়েছে, আরিয়ান খানের হোয়াটস অ্যাপ চ্যাট থেকেও আপত্তিকর কিছু পাওয়া যায়নি। আদালতের বক্তব্য অনুসারে, অভিযুক্ত খান এবং তাঁর বন্ধু আরবাজ ও মুনমুন ধামেচার মধ্যে চলা হোয়াটস অ্যাপ চ্যাট থেকে আপত্তিকর কোনো কিছু পাওয়া যায়নি।
আদালত জানিয়েছে, একই ক্রুইজ শিপে আরিয়ান খান, আরবাজ মার্চেন্ট এবং মুনমুন ধামেচা ভ্রমণ করছিলেন অর্থ এই নয় যে তাঁরা চক্রান্ত করেছিলেন। এছাড়াও বিচারপতি সামব্রে জানিয়েছেন, ধৃতরা আদৌ ড্রাগ নিয়েছিলো কিনা তা দেখার জন্য কোনো মেডিক্যাল পরীক্ষা করা হয়নি।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন