কঙ্গনা রানাউত ইনস্টাগ্রাম পোস্টের একটি সিরিজে মহাত্মা গান্ধীর বিষয়ে একাধিক বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন। তাতে ক্ষুব্ধ হয়েছেন খোদ দিল্লি বিজেপির মুখপাত্র নিঘাত আব্বাস। তিনি বলেন - প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও গান্ধীজীর শিক্ষা দ্বারা অনুপ্রাণিত এবং তাঁর বিরুদ্ধে এই জাতীয় বিবৃতি আন্তর্জাতিক স্তরে ভারতের মানহানি করার সমান।
ট্যুইটারে একটি ভিডিও পোস্ট করে তিনি বলেন – “মহাত্মা গান্ধীকে দেশের জনগণ জাতির পিতার মর্যাদা দিয়েছে। যার আদর্শ দেশে ভারতীয়তাকে বাঁচিয়ে রেখেছে। যার চিন্তাভাবনা আমাদের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেও অনুপ্রাণিত করেছে।”
তিনি আরও বলেন – “আমি জানতে চাই কঙ্গনা রানাউত গান্ধীজী সম্পর্কে অযৌক্তিক কথা বলে কী প্রমান করতে চায়! ক্রমাগত অযৌক্তিক কথা বলে, স্বাধীনতা সংগ্রাম নিয়ে প্রশ্ন তুলে, দেশের মানুষকে আঘাত করছেন। আমি বিশ্বাস করি তিনি শুধু দেশের মানুষকেই আঘাত করছেন না, আন্তর্জাতিক স্তরে ভারতের মানহানি করছেন।” সবশেষে তিনি বলেন – “মহাত্মা গান্ধী ‘জাতির পিতা’ ছিলেন এবং থাকবেন। বিজেপিও তাঁর দ্বারা অনুপ্রাণিত। কঙ্গনা রানাউতের অবিলম্বে দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিৎ।”
প্রসঙ্গত, কঙ্গনা রানাউত দাবি করেছেন যে সুভাষ চন্দ্র বসু এবং ভগৎ সিং মহাত্মা গান্ধীর কাছ থেকে কোনও সমর্থন পাননি। পুরনো সংবাদপত্রের প্রতিবেদন পোস্ট করে অভিনেত্রী লিখেছেন, আপনি হয় গাঁধীর সমর্থক অথবা নেতাজির। এর পাশাপাশি অভিনেত্রী লিখেছেন, ভগৎ সিংয়ের মৃত্যুদণ্ডে গাঁধীজি রাজি ছিলেন, এমন অনেক প্রমাণ রয়েছে।
এর আগেও বিতর্কিত মন্তব্য করে সমালোচিত হয়েছিলেন বলিউড অভিনেত্রী। বলেছিলেন - ‘১৯৪৭-এ দেশ আদতে স্বাধীনতা পায়নি। ভিক্ষা পেয়েছিল। আসল স্বাধীনতা পেল ২০১৪-য়।’
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন