অভিনেতা তথা পূর্ব মেদিনীপুরের চণ্ডীপুরের তৃণমূল বিধায়ক সোহম চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে এবার কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করলেন নিউটাউনের ওই রেস্তোরাঁ মালিক আনিসুল আলম। তাঁর অভিযোগ, সোহম তাঁকে এবং তাঁর পরিবারকে হুমকি দিচ্ছেন। পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগও তোলেন তিনি। মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। আগামী শুক্রবার শুনানির সম্ভাবনা।
গত শুক্রবার নিউটাউনে একটি রেস্তোরাঁর সামনে গাড়ি রাখা নিয়ে বচসায় জড়িয়ে পড়েন অভিনেতা সোহম। সূত্রের খবর, সোহমের শ্যুটিং চলাকালীন রেস্তোরাঁর সামনে অভিনেতা ও শ্যুটিং ইউনিটের গাড়ি রাখা ছিল। রেস্তোরাঁ মালিকের দাবি, একটা পার্কিং খালি করতে বললে, হঠাৎই সোহম চক্রবর্তীর নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁর উপর চড়াও হন।
তাঁর আরও অভিযোগ, এরপর সোহমও তাঁকে মারধর করেন। চড়-ঘুষি মারা হয়। তাঁকে সজোরে লাথিও মারেন। বিষয়টি পুলিশকে জানিয়েছেন বলে দাবি রেস্তোরাঁর মালিকের। এবং পুরো ঘটনাটি সিসি ক্যামেরায় রেকর্ডও হয়েছে। প্রয়োজনে তিনি সেটি পুলিশের হাতে তুলে দেবেন বলেও জানান। তবে ঘটনার চারদিন কেটে যাওয়ার পরেও পুলিশের পক্ষ থেকে কোনোরকম পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেন তিনি।
ওইদিনই রেস্তোরাঁর মালিককে মারধরের কথা স্বীকার করে নেন অভিনেতা। সোহম বলেন, “সে তো করেছিই। গালাগালি করবে এবং অভিষেককে নিয়ে গালাগালি করেছে সেটা মেনে নেওয়া যায় না। চারটে চড় মেরেছি। ধাক্কা দিয়েছি। অভিনেতারাও মানুষ। আমাদেরও আবেগ আছে। তারই প্রতিফলন হয়েছে। ছোটখাটো বিষয়। পুলিশ দেখছে।“
যদিও পরে ক্ষমা চান অভিনেতা। শনিবার তিনি বলেন, “আগে আমার ও আমার প্রযোজনা সংস্থার কর্মীদের উপর আক্রমণ করা হয়েছিল। অকথ্য গালিগালাজ করা হয়, কুকথা বলা হয় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামেও। সেই সময়ে মাথা ঠিক রাখতে পারিনি। কিন্তু একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে এমন কাজ করা উচিত হয়নি। আমার ভুল হয়েছে।“
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন