ছাত্রনেতা আনিস খানের হত্যা নিয়ে মুখ খুলে চূড়ান্ত কটাক্ষের স্বীকার হলেন অভিনেতা পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়। আনিস খানের হত্যাকারীরা কোন দলের সেই মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন বলে ট্যুইটারে লিখেছিলেন দেউচা-পাচামির প্রস্তাবিত খনি নিয়ে রাজ্য সরকার মনোনীত কমিটির প্রধান। তাঁর এই মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেছেন SFI নেত্রী ঐশি ঘোষ সহ নেটিজেনদের একাংশ।
শুক্রবার রাতে আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এমবিএ পড়ুয়া আনিস খানকে তাঁরই বাড়ির তিনতলার ছাদ থেকে ফেলে হত্যা করার অভিযোগ ওঠে চারজনের বিরুদ্ধে। ছাত্র আন্দোলনে যথেষ্ট পরিচিত নাম আনিশ। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন গণ আন্দোলনে শামিল হয়েছেন তিনি। এনআরসি বিরোধী আন্দোলনে সামনের সারিতে ছিলেন তিনি।
আনিসের মৃত্যুর পর তোলপাড় বাংলা। শাসকদলের দিকেই অভিযোগের আঙুল উঠছে। দোষীদের শাস্তির দাবিতে দফায় দফায় চলছে বিক্ষোভ।
আনিস খানের মৃত্যু প্রসঙ্গে রবিবার অভিনেতা পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় নিজের ট্যুইটারে লেখেন, "হত্যাকারীরা কোন দলের, নিহত কোন দলের ছিলেন, এইসব যুক্তি তক্কো তথ্য নিষ্প্রয়োজন মনে করছি এক্ষেত্রে এবং এগুলি নির্বিশেষে আনিস খানের নারকীয় হত্যাকাণ্ডের ঘটনার তীব্র নিন্দা করছি। এই ঘটনার বিচার এবং অপরাধীদের আইনানুগ শাস্তি হওয়া দরকার।"
'কাহানি' অভিনেতার এই মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেছেন নেটিজেনরা। SFI নেত্রী তথা জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের সভাপতি ঐশী ঘোষ পরমব্রতর ট্যুইটের জবাব দিয়ে লেখেন, "হত্যাকারীর আর নিহতের দলটা শুধু বেছে বেছে নিষ্প্রয়োজন কেন হয়ে যায়, এটা বুঝতে পারলাম না। এই ব্যাপারে অপরাধীরা এক রাজনৈতিক দলের লোকজন, তাদের দলের নামটা উচ্চারণ করতে এত সবার দ্বিধা কেন?"
অপর্ণা নামের এক ট্যুইটার ব্যবহারকারী লেখেন, "একটা রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডে নিহত কোন দলের এবং খুনী কোন দলের সেটা বাদ দিলে সেটা আর রাজনৈতিক থাকেনা। যুক্তি তক্ক নিষ্প্রয়োজন হলে ঘটনা বিচ্ছিন্ন বলা সহজ হয়ে যায়। যে দল করেছে, তাকে আলাদা করা যায়। একই যুক্তি পেহলু খান কে যারা হত্যা করেছিল, তাদের ক্ষেত্রেও বলা যেতে পারে।"
এর পাল্টা জবাবে ২০০৭ সালে বাম আমলে হওয়া রিজওয়ানুরের হত্যাকান্ডের প্রসঙ্গ টেনে আনেন অভিনেতা।
অবিন দত্তগুপ্ত নামের এক ট্যুইটার ব্যবহারকারী পর্দার বরুণ বিশ্বাসকে লেখেন, "শাসকদলের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ জমা দেওয়া একজন রাজনৈতিক আন্দোলনকারী খুন হলেন।কিন্তু কোন দলের নাম মুখে আনা যাবে না! পর্দায় যে বরুণ বিশ্বাস সাজে সে আবার বাস্তবে কয়লা কমিটি আলো করে বসে থাকে আর ৯৮ নম্বর ওয়ার্ডের ছাপ্পা দিয়ে জেতা তৃণমূল প্রার্থীর প্রচারে যায়।"
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন