বিনোদনের বাজারে একটি প্রচলিত নাম ডিজনি। আর এই ডিজনির সর্বাপেক্ষা বেশি চর্চিত কার্টুন চরিত্র হল মিকি মাউস। এবার এই মিকি মাউসের ওপর থকে স্বত্ব হারাতে চলেছে আমেরিকার অন্যতম পুরাতন প্রযোজনা কোম্পানি ডিজনি।
আমেরিকান কপিরাইট আইন অনুযায়ী, কোন শৈল্পিক কাজের ওপর সেই শিল্পীর ৯৫ বছরের ব্যক্তিগত স্বত্ব থাকে। ওই ৯৫ বছরের মধ্যে কোন ব্যক্তি বা সংস্থা তাঁর সেই শিল্প কর্মটি ব্যবহার করতে চাইলে শিল্পীর কাছ থেকে স্বত্ব কিনতে হয়। এবার সেই মতোই স্বত্বমুক্ত হতে চলেছে ডিজনির মিকি মাউস।
মিকি মাউসকে নিয়ে যেকোন রকম প্রশ্ন এলেই সবার প্রথমে আসে 'ওয়াল্ট ডিজনি'-র নাম। এই চরিত্র সৃষ্টি করে ১৯২৮ সালের ১লা অক্টোবর, মিকিকে দুনিয়ার সামনে নিয়ে এসেছিলেন ওয়াল্ট। ২০২৪ সালে মিকি ৯৫ বছর অতিক্রম করবে। আর তারপরই স্বত্বমুক্ত হবে মিকি। প্রচলিত ধারণা এই যে মিকির চরিত্রটি ওয়াল্ট ডিজনিই এঁকেছিলেন। তবে না! এটি একটি মিথ। মিকি মাউসের ছবিটি এঁকেছিলেন ওয়াল্টের বন্ধু আব আইওয়ারক্স। মিকির ভক্তকূল বলেন, মিকি শরীরটা আব আইওয়ারক্স দেওয়া হলেও চরিত্রটিকে প্রাণ দিয়েছেন ডিজনি। তিনিই মিকির চরিত্রটি জগতবিখ্যাত করে পেয়েছিলেন সিনেদুনিয়ার সবচেয়ে বড় পুরস্কার অস্কার।
এবার কি তবে মিকি মাউস সবার! মিকির এই চরিত্র ব্যবহার করতে কোন কপি রাইটের ঝক্কি পোয়াতে হবে না? হ্যাঁ, ২০২৪ সালের পর এমনটাও সম্ভব। কোনও চিত্র পরিচালক যদি চান মিকির চরিত্রকে তাঁর ছবিতে ব্যবহার করবেন, তা করতেই পারেন। তবে অবশ্যই এক্ষেত্রে পরিচালকের নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি থাকতে হবে ও ডিজনির কোন অনুষ্ঠানের অনুকরণে সেই ছবির গল্প বা প্লট সাজানো যাবে না। তা লঙ্ঘন করলে ডিজনি তরফে মামলা দায়ের করা হতে পারে। তবে মিকির ছবিকে নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গিতে ব্যবহারের ক্ষেত্রে কোন বিধিনিষেধ থাকবে না।
উল্লেখ্য, ডিজনির ‘উইনি দ্য পুহ’ চরিত্রটি ইতিমধ্যেই পাবলিক ডোমেনে প্রবেশ করেছে। অতিশীঘ্রই রাইস ওয়াটারফিল্ডের পরিচালনায় 'উইনি দ্য পুহ: ব্লাড অ্যান্ড হানি' ছবিতে, চরিত্রটিকে সম্পূর্ণ নতুন রূপে দেখা যাবে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন