আড়াই বছর বয়সে সঙ্গীতের দুনিয়ায় হাতেঘড়ি। বর্তমানে তাঁর কণ্ঠের জাদুতে মত্ত আট-আশি সবাই। সঙ্গীত শিল্পী হিসাবে পালক মুছালের জনপ্রিয়তার কথা আজ আর আলাদা করে বলার অবকাশই রাখে না। তবে এই শিল্পী সত্ত্বার বাইরেও গায়িকার অন্য একটি পরিচয় আছে। তিনি গরীব ও দুঃস্থ শিশুদের হার্ট সার্জারির দায়িত্ব নেন। আর বর্তমানে সেই সংখ্যাটা পৌঁছেছে তিনহাজারে।
সম্প্রতি নিজের সমাজ মাধ্যমে তিনি এই কথা ভাগ করে নিয়েছেন। গায়িকা জানান, তাঁর ফাউন্ডেশন ‘সেভিংস লিটিল হার্ট’ –এর মাধ্যমে তিনহাজার শিশুর হার্ট সার্জারি হয়েছে। সম্প্রতি নিজের ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডেলে একটি ভিডিও পোষ্ট করেন গায়িকা। যেখানে তিনি জানান, গত ১১ জুন ইন্দোরের এক আট বছর বয়সী শিশু অলোক সাহুর সফল ভাবে অস্ত্রোপচার হয়েছে।
গায়িকে লেখেন, “তিন হাজার জীবন বাঁচানো হয়েছে। অলোকের জন্য প্রার্থনার করায় আপনাদের ধন্যবাদ। অস্ত্রোপচার সফলভাবে হয়েছে এবং এখন পুরোপুরি সুস্থ।" রিপোর্ট অনুযায়ী, গত সাত বছর ধরে এই কাজের সঙ্গে যুক্ত আছেন পালক মুছাল।
এরপর গায়িকা তাঁর এই যাত্রা সম্পর্কে জানান, "যখন আমি মিশন শুরু করি, তখন এটি একটি ছোট উদ্যোগ ছিল। তখন আমার সাত বছর বয়স। এবং এখন এটি আমার জীবনের সবচেয়ে বড় মিশন হয়ে উঠেছে। এখনও ৪১৩ টি বাচ্চা আছে আমার ওয়েটিং লিস্টে। আমি এমন সব বাচ্চাদের হার্ট সার্জারির উদ্যোগ নিই, যাদের বাবা-মায়ের পক্ষে খরচ বহন করা সম্ভব নয়।“
তিনি আরও বলেন, “যখন আমি সিনেমা বা মিউজিক অ্যালবামে কাজের সুযোগ পাইনি তখন আমি তিন থেকে চার ঘণ্টা গান গেয়ে অর্থ সংগ্রহ করতাম। একটি বাচ্চাকে সেই টাকা দিয়ে সাহায্য করতে পেরেছিলাম। যখন আমার গান পপুলার হল টাকার পরিমান বাড়ল তখন স্বপ্নটাও আরও বড় হল। একটি কনসার্টে গান গেয়ে ১৩ থেকে ১৪ জন শিশুকে সাহায্য করতে পারলাম। আমার মনে হয় গান এমন একটা মাধ্যম যার মধ্যে দিয়ে সমাজের চেহারাটা অনেকখানি বদলে দেওয়া যায়।“
ইন্দোরের বাসিন্দা পালক মুছাল একজন প্লেব্যাক শিল্পী। তিনি 'কৌন তুঝে', 'নাইয়ো লাগদা', 'হুয়া হ্যায় আজ পেহলি বার' এবং 'ধোখা ধাদি'-এর মতো জনপ্রিয় গানগুলির জন্য সর্বাধিক পরিচিত। তিনি সঙ্গীত সুরকার মিথুন শর্মা ওরফে মিথুনকে বিয়ে করেছেন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন