কলকাতা বইমেলায় ছিনতাইয়ের ঘটনা নতুন কিছু নয়। পকেটমারি বা বই চুরির ঘটনাও হামেশাই ঘটে। কিন্তু এবার বঙ্গে শোরগোল পড়ে গিয়েছে অন্য কারণে। বইমেলা শেষের ঠিক আগের দিন কেপমারির অভিযোগে পুলিশের জালে ধরা পড়লেন অভিনেত্রী রূপা দত্ত। তাঁকে বিধাননগর উত্তর থানার পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
কী ঘটেছিল? শনিবার সন্ধ্যায় রূপার ব্যাগ থেকে প্রায় ৭৫ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। রুপার আসল পরিচয় জেনে হতবাক পুলিশ কর্তারা। অভিনেত্রীর কাছ থেকে একটি ডায়েরি উদ্ধার হয়েছে। সেই ডায়েরিতে লেখা রয়েছে কবে কত টাকা তোলা হয়েছে তার হিসাব। এই ঘটনার পিছনে কোনও বড়ো চক্র আছে বলে পুলিশ মনে করছে। অভিনেত্রী হয়েও কেন তাঁকে পকেটমারি করতে হচ্ছে, খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
অবশ্য এই প্রথম নয়। অভিনেত্রী রূপা দত্তের আরও কয়েকটি কীর্তিকলাপ আছে। তার মধ্যে বিস্ফোরক ছিল মিথ্যা যৌন হেনস্থার অভিযোগ। চিত্র পরিচালক অনুরাগ কাশ্যপের বিরুদ্ধে ‘যৌন হেনস্থা’র অভিযোগে তোলপাড় হয়েছিল সর্বত্র।
গত ২০২০ সালে পায়েল ঘোষ প্রথমে অনুরাগ কাশ্যপের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার অভিযোগ তুললে পাশে পেয়ে যান রূপাকে। তিনিও অনুরাগের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ তুলেছিলেন। ফেসবুকে একাধিক আপত্তিকর মেসেজ পাঠিয়েছেন অনুরাগ। এমনই অভিযোগ ছিল তাঁর। ন্যাশনাল চ্যানেলে মহেশ ভট্টের বিরুদ্ধেও বিস্ফোরক একই অভিযোগ করেছিলেন নিজেকে স্বঘোষিত কার্ণি সেনার প্রেসিডেন্ট হিসাবেও ঘোষণা করা রূপা। মহেশ ভট্টও নাকি তাঁকে এই ধরনের মেসেজ পাঠিয়েছিলেন ফেসবুকে।
পরে জানা যায়, অনুরাগের বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। আয়ারল্যান্ডের বাসিন্দা অনুরাগ সফর নামে একজনের সঙ্গে চ্যাটের স্ক্রিন শট পোস্ট করেন রূপা। তিনিও ফেসবুকে জানান, তাঁকে অনুরাগ কাশ্যপ বলে ভারতের ন্যাশনাল মিডিয়াগুলোতে দেখানো হচ্ছে। তিনি তা নন আসলে।
প্রসঙ্গত, রূপার সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইলে বিজেপি নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গীয়, ধনকরদের সঙ্গে ছবি দেখতে পাওয়া যায়। পাশাপাশি নেহরুকে দায়ী করে, রাহুল গান্ধীকে নিয়েও প্রচুর পোস্ট করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। যোগীর ছোটবেলার ছবি পোস্ট করে তাকে ভাবী প্রধানমন্ত্রী বলা কিংবা সাভারকার, শ্যামাপ্রসাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পোস্ট সহ আরও অনেক কিছুই পাওয়া যায় তাঁর অ্যাকাউন্টে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন