ওস্তাদ রশিদ খানের পত্নীর পর এবার পুলিশের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ তুললেন টলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা দম্পতি জিতু কমল এবং নবনীতা দাস। প্রকাশ্য রাস্তায় সরাসরি ধর্ষণ এবং খুনের হুমকি পাওয়ায় নিমতা থানায় অভিযোগ দায়ের করতে গিয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু সেখানে পুলিশের বিরুদ্ধে FIR নিতে অস্বীকার করার অভিযোগ উঠেছে। কর্তব্যরত পুলিশ কর্মীর বিরুদ্ধে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ তুলছেন দম্পতি।
সূত্রের খবর, ঘটনার চার ঘণ্টা পর এফআইআর নিতে রাজি হয়েছে নিমতা পুলিশ। পণ্যবাহী গাড়ির চালক সহ দু'জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এমনকি, অভিনেতা দম্পতিকে সাদা কাগজে সই করিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে বলে পুলিশের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। পুরো ঘটনাটি ঘিরে ফেসবুক লাইভে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তারকা দম্পতি।
১১ ঘণ্টা আগে ফেসবুক লাইভে এসে নবনীতা বলেন, "খুব বড়ো শিক্ষা পেলাম আজ। "সেলিব্রিটি বা চেনা মুখ" এই সকল তকমাতে আমি বিশ্বাসী নই। সাধারণ মানুষ হিসেবে বিচার চাইতে গিয়েছিলাম পরশুরাম বাবুর কাছে৷ দারুণ ভয় পাওয়ালেন স্যার।। পরশুরাম বাবু আপনিই শ্রেষ্ঠ, আপনি "পুলিশ"!"
নিমতা থানার বাইরে ফেসবুক লাইভের মাধ্যমে অভিনেত্রী আরও জানান, "থানার বাইরে চার-পাঁচ জন প্রথমে আমার গাড়ির ড্রাইভারকে ধরতে এসেছিল। তারপর যখন আমি গিয়ে জিজ্ঞেস করেছি, আপনারা কোথায় নিয়ে যাওয়ার কথা বলছেন? চলুন আমিও যাব। বলছে 'রেপ' করে দেব, 'ডেড' করে দেব। ভিডিও-র মধ্যে বলছে! থানার সামনে দাঁড়িয়ে এসব কথা বলছে। পুলিশ সবকিছু দেখেও ওদের কিছু বলল না। থানার সামনে এসব বলেছে, বাইরে তো আরও বেশি করবে। আমি তো এখন রীতিমতো ভয় পাচ্ছি। পুলিশের সামনে পুরো ঘটনা হওয়ার পর পুলিশ বলছে তোরা বেরিয়ে যা!"
ফেসবুক লাইভেই জিতু কমলের সাথে পুলিশের বচসা হতে দেখা গেছে। অভিনেতার কথায়, আমাদের গাড়িতে এসে একটা গাড়ি ধাক্কা মারল। গাড়িতে চোট লেগেছে। থানার পুলিশকে আমার ড্রাইভার জানাতে গেছে, তাঁকে রান ওভার করে চলে যাচ্ছিল তারা। সে বাঁচার জন্য হাত দিয়ে মেরেছে, অথচ পুলিশ এসে বলছে ভেঙেছে কেন! এক ঘণ্টা ধরে অভিযোগ জানানোর জন্য আমরা দাঁড়িয়ে রয়েছি।"
অভিনেতা আরও বলেন, "ওই পুলিশের নাম পরশুরাম। পুলিশ যেভাবে একটা মহিলার উপর চিৎকার করল, যে দুর্ব্যবহার করল, তা অভাবনীয়। এর আগেও একবার আমি এই থানায় এসে FIR করেছিলাম, কিন্তু কোনও সুরাহা হয়নি। আমি এসিপি স্যারকে ফোন করেছি। তিনি বললেন ঠিকাছে, তুমি আগে জিডি করো।"
লাইভে পুলিশকে লক্ষ্য করে জিতুকে বলতে দেখা গেছে, মদ্যপ অবস্থায় ছেলেগুলো ছিল। আপনি কী করে ওদের ছেড়ে দিলেন? আপনি কী করে ওদের বলছিলেন চলে যান? আমি কোনও মিথ্যে কথা বলিনি, সব ভিডিও আমার কাছে আছে। এতগুলো ছেলে এসে আমাদের রাস্তায় ধরছে, আপনি কী করে বলছেন দু'পক্ষকে সামলানোর চেষ্টা করছিলেন? মদ খেয়ে থানার ভিতর আমাকে এবং আমার স্ত্রীকে ধরছে।"
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন