বিজেপি নেতা রুদ্রনীল ঘোষের বিরুদ্ধে ক্রেতা সুরক্ষা দফতর রাজ্য সরকারের কাছে তদন্তের সুপারিশ করল। ওই দফতরের মন্ত্রী সাধন পাণ্ডে জানান, এক ব্যক্তির অভিযোগের ভিত্তিতেই তদন্ত করার এই সুপারিশ করা হয়েছে। এই ঘটনায় প্রতিহিংসার পাল্টা অভিযোগ তুলেছেন সদ্য শাসকদল থেকে গেরুয়া শিবিরে যাওয়া রুদ্রনীল।
জানা গিয়েছে, রাইট টু পাবলিক সার্ভিসের কমিশনার পদ নিয়ে এক ব্যক্তির চিঠিকে হাতিয়ার করে এই তদন্তের সুপারিশ করা হয়েছে। গত ২০১৫ সালে রাইট টু পাবলিক সার্ভিসের কমিশনার হন এই অভিনেতা। তাঁর বেতন ছিল মাসে আড়াই লক্ষ টাকা! গতবছর ডিসেম্বর মাসে পদের মেয়াদ শেষ হলেও তার আগেই তথ্য জানার অধিকারে চিঠি দেন অভিযোগকারী ব্যক্তি।
ক্রেতা সুরক্ষা দফতর সূত্রের খবর, চিঠিতে ওই ব্যক্তি জানতে চেয়েছেন, ওই পদে রুদ্রনীল ঘোষের কাজ কী? দফতরে অনিয়মিত উপস্থিতি সত্ত্বেও কেন নিয়মিত বেতন পাচ্ছেন তিনি? ওই ব্যক্তি চিঠি মারফত এসব প্রশ্ন তুলেছিলেন বলে সংশ্লিষ্ট দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। তাঁর অভিযোগ ছিলো, সরকারি অর্থের অপব্যবহার হচ্ছে। ক্রেতাসুরক্ষা দফতরে কিছুদিন আগে আসা চিঠিটি পেয়ে বিষয়টি তদন্ত করে দেখার জন্য নবান্নে সুপারিশ করেছেন মন্ত্রী সাধন পান্ডে।
বিষয়টি সম্পর্কে রুদ্রনীল ঘোষ জানান, ‘আমি এমন অনেক অপমানের জন্য অপেক্ষা করছি। তার কারণ দল থেকে বেরিয়ে যাওয়ার মানেই কোনও ব্যক্তি দুর্নীতিগ্রস্ত বলা হচ্ছে, বলা হচ্ছে সে কাজ করেনি, ফাঁকি দিয়েছে। এটা রুটিনের মধ্যে পড়ে গিয়েছে।’ রুদ্রনীলের পাশে দাঁড়িয়েছেন হুগলির বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘যদি কেউ কিছু ভুল করে থাকেন, তা হলে তিনি যখন দলে ছিলেন তখন কেন কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি? হঠাৎ দল থেকে কেউ বেরিয়ে গেলেই কারও বিরুদ্ধে মামলা, তদন্ত করা হচ্ছে।' তাঁর মতে, এতেই প্রমাণ হয়, ভালো লোকগুলি দল থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে বলে ভয় পাচ্ছে শাসকদল।’
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন