৯৬ তম অস্কারের মঞ্চে স্মরণ করা হল প্রখ্যাত প্রোডাকশন ডিজাইনার নীতিন দেশাইকে, যিনি একাধারে চিত্র পরিচালক ও প্রযোজকও ছিলেন। চলতি বছরের অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ডের ‘ইন মেমোরিয়াম’ বিভাগে সম্মানিত চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্বদের তালিকায় ছিল নীতিন দেশাইয়ের নাম। প্রতি বছর এই বিভাগে প্রয়াত কিংবদন্তি শিল্পীদের শ্রদ্ধা জানানো হয়। উল্লেখ্য, 'লগন', 'দেবদাস', ‘বাজিরাও মস্তানি’, ‘হাম দিল দে চুকে সনম’-এর মতো সিনেমায় নীতিন দেশাইয়ের অবদান অনস্বীকার্য।
নীতিন দেশাই ২০২৩ সালের আগষ্ট মাসে নিজের স্টুডিওতেই আত্মহত্যা করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৫৭ বছর। নীতিন রাজকুমার হিরানি এবং আশুতোষ গোয়ারিকরের মতো বিখ্যাত পরিচালকদের সঙ্গে কাজ করেছেন। তিনি ‘ওয়ান্স আপন এ টাইম ইন মুম্বাই’, ‘মুন্না ভাই এমবিবিএস’, ‘দোস্তানা’, ‘লাগে রাহো মুন্না ভাই’, ‘মিশন কাশ্মীর’, ‘জোশ', 'পেয়ার তো হোনা হি থা’ প্রমুখ ছবিতে কাজ করেছেন। তাঁর শেষ ছবি ছিল আশুতোষ গোয়ালিকরের পরিচালনায় 'পানিপথ’।
মুম্বাই থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত রায়গড়ের কারজাত এলাকায় এনডি স্টুডিওতে নীতিন দেশাইয়ের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছিল। ২০০৫ সালে ৫২ একর জমির ওপর এই স্টুডিও তৈরি করেন তিনি। পরিচিত মহলে তিনি জানিয়েছিলেন এই এন ডি স্টুডিও তাঁর স্বপ্নের প্রকল্প। পুলিশ সূত্রে প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছিল, এই স্টুডিও তৈরির পর আর্থিক সমস্যায় ভুগছিলেন নীতিন। তাঁর মাথায় ছিল বিপুল ঋণের বোঝা।
অস্কার ২০২৪ ‘ইন মেমোরিয়াম’ বিভাগে নীতিন দেশাই ছাড়াও ছিলেন দক্ষিণ কোরিয়ার অভিনেতা লি সান-কিউন, যিনি গত ২৭ ডিসেম্বর আত্মহত্যা করেছিলেন। ‘প্যারাসাইট’র জন্য অস্কার জিতেছিলেন লি সান-কিউন।
এছাড়াও ছিলেন ফ্রেন্ডস স্টার ম্যাথিউ পেরি, গায়ক হ্যারি বেলাফন্টে, অভিনেতা পল রুবেন্স, মেলিন্ডা ডিলন, নরম্যান জেভিসন, পাইপার লরি, রায়ান ও'নিল, জুলিয়ান স্যান্ডস, কার্ল ওয়েদারস, ট্রিট উইলিয়ামস এবং বার্ট ইয়ং।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন