এক সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয় বার খুনের হুমকি পেলেন বলিউড ভাইজান সলমন খান। ‘বাঁচতে চাইলে মন্দিরে গিয়ে ক্ষমা চান, নাহলে পাঁচ কোটি টাকা দিন।‘ সোমবার রাতে মুম্বাই পুলিশের ট্র্যাফিক কন্ট্রোলের হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে লরেন্স বিষ্ণোইয়ের ভাই আনমোলের নাম করে এই হুমকি বার্তা এসেছে। এই বার্তা পাওয়ার পরেই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
মুম্বাই পুলিশ সূত্রে খবর, সোমবার মধ্যরাতে ট্র্যাফিক কন্ট্রোল রুমে হুমকি বার্তা পাঠানো হয়। বার্তায় লেখা হয়, ‘লরেন্স বিষ্ণোইয়ের ভাই বলছি। সলমন খান যদি বাঁচতে চান, তবে আমাদের মন্দিরে গিয়ে ক্ষমাপ্রার্থনা করুন। আর যদি তা না করেন, তা হলে পাঁচ কোটি টাকা দিতে হবে। দু’টির কোনওটাই যদি না করেন, তবে সলমনকে খুন করা হবে। আমাদের গ্যাং এখনও নজর রাখছে।‘
এই বার্তা পাওয়ার পরেই তদন্ত শুরু করেছে মুম্বাই পুলিশ। কোথা থেকে এই বার্তা এসেছে, বার্তা প্রেরক আদৌ লরেন্স বিষ্ণোইয়ের ভাই কিনা, সমস্ত কিছু খতিয়ে দেখছে মুম্বাই পুলিশ। উল্লেখ্য, গত ৩০ অক্টোবর সলমন খানের কাছ থেকে ২ কোটি টাকা দাবি করে মুম্বাই ট্র্যাফিক পুলিশের হেল্পলাইন নম্বরে হুমকি বার্তা আসে। টাকা না দিলে অভিনেতাকে খুন করা হবে বলে দাবি করা হয়। সেই ঘটনায় আজম মহম্মদ মুস্তফা নামের এক যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ। জানা যায়, তিনি বান্দ্রা পূর্বের বাসিন্দা।
এর আগেও একাধিকবার খুনের হুমকি পান সলমন খান। তবে শুধু সলমন নয়, খুনের হুমকি দেওয়া হয় প্রয়াত বাবা সিদ্দিকির ছেলে জিশান সিদ্দিককেও। এমনই অভিযোগের ভিত্তিতে গত ২৮ অক্টোবর উত্তর প্রদেশের নয়ডা থেকে গ্রেফতার করা হয় ২০ বছর বয়সী এক যুবককে।
তাঁর আগে গত ১৮ অক্টোবর সলমন খানকে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়। ৫ কোটি টাকা না দিলে সলমনের অবস্থা বাবা সিদ্দিকির থেকেও খারাপ হবে। এমনই হুমকি বার্তা দেওয়া হয় মুম্বাই পুলিশকে। সেই ঘটনার তদন্তে নেমে জামশেদপুর থেকে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়। অভিযোগ, বিষ্ণোইয়ের নাম করে তিনিই সলমনকে হুমকি দিয়েছিলেন।
এর কয়েক মাস আগে, সলমন খানের বাড়ির সামনে কয়েক রাউন্ড গুলি চালানোর ঘটনাও ঘটে। প্রাথমিক তদন্তে জানানো হয়েছিল, এই ঘটনার পিছনেও লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাংয়ের হাত রয়েছে। উল্লেখ্য, ১৯৯৮ সালে ‘হাম সাথ সাথ হ্যায়’ সিনেমার শুটিং চলাকালীন সলমন খানের বিরুদ্ধে কৃষ্ণসার হরিণ হত্যার অভিযোগ ওঠে। এই কৃষ্ণসার হরিণ লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাং-এর ধর্মের পবিত্র প্রাণী। এরপর থেকেই তারা সালমান খানকে হত্যার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন