বিজেপি নেতা কুলদীপ বিষ্ণোইয়ের বিরুদ্ধে সোনালী ফোগতকে হত্যার অভিযোগ আনলেন তাঁর ভাই রিঙ্কু ঢাকা। হরিয়ানার হিসারে অনুষ্ঠিত সর্ব খাপ মহাপঞ্চায়েতে তিনি এই অভিযোগ করেছেন। খাপ মুখপাত্র সন্দীপ ভারতী সংবাদসংস্থা এএনআই-কে জানান, সোনালীর পরিবারের সদস্যদের অভিযোগের ভিত্তিতে সর্ব খাপ মহাপঞ্চায়েত সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এই বিষয়ে কুলদীপ বিষ্ণোইকে মহাপঞ্চায়েতের সামনে তাঁর অবস্থান স্পষ্টভাবে ব্যাখ্যা করতে হবে।
সোনালীর ভাইয়ের অভিযোগ, "আমাদের একজন পরিচিত গোয়ায় ছিলেন। সোনালীর মৃত্যু সংবাদ পাওয়ার পর আমরা তাঁকে হাসপাতালে ডেকে পাঠাই। সেখানে আসা মাত্রই খুনের অন্যতম অভিযুক্ত সুধীর সাংওয়ান, যিনি তখন ওখানে উপস্থিত ছিলেন, তিনি আমার পরিচিতকে জিজ্ঞেস করেন, তিনি কোথা থেকে এসেছেন। উত্তরে যখন তিনি বলেন হিসার থেকে এসেছেন, সুধীর তাঁকে জিজ্ঞেস করেন কুলদীপ পাঠিয়েছে কিনা। সেই ব্যক্তি কোনও উত্তর না দিলে পরে গাড়িতে ওঠার সময় সুধীর তাঁকে একই প্রশ্ন করেন।"
খাপ মুখপাত্রর কথায়, "গতসপ্তাহে পঞ্চায়েতে সোনালীর পরিবার প্রকাশ্যে বলেছে, বিজেপি নেতা কুলদীপ বিষ্ণোই-ই এই ষড়যন্ত্রের মূল কাণ্ডারী। পুলিশ তদন্তকে চাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে। কিন্তু সর্ব খাপ এবং সোনালীর পরিবারের সন্দেহের তালিকায় রয়েছেন কুলদীপ। তাঁর আরও সংযোজন, আগের খাপ পঞ্চায়েতেও অনেক প্রতিনিধি কুলদীপের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছিলেন। তাই তাঁর উচিত সবার সামনে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করা।"
সন্দীপ ভারতী জানিয়েছেন, আগামী ২৩ অক্টোবর আদমপুরে সর্বসমাজের একটি বড় মহাপঞ্চায়েত অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে কুলদীপের কথায় যদি সোনালীর পরিবার সন্তুষ্ট না হয়, তবে তাঁরা বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা ভাববেন। পরিবারের সদস্য সহ একটি প্রতিনিধি দল মুখ্যমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের সাথে দেখা করবেন।
প্রসঙ্গত, গত ২৩ আগস্ট গোয়াতে খুন করা হয় টিকটক স্টার তথা বিজেপি নেত্রী সোনালী ফোগোতকে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন তাঁর পিএ সুধীর সাংওয়ান এবং তাঁর সঙ্গী সুখবিন্দর। সোনালীর পরিবারের অভিযোগ, সম্পত্তির লোভে সুধীর ও সুখবিন্দর মাদক ব্যবহার করে তাঁকে খুন করেছে।
সোনালীর ভাই গোয়া থানায় সুধীর সাংওয়ান ও সুখবিন্দরের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। দুজনই বর্তমানে পুলিশি হেফাজতে রয়েছেন। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে সোনালীর দেহে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। তার ভিত্তিতে গোয়া পুলিশ সুধীর ও সুখবিন্দরের বিরুদ্ধে খুনের মামলা দায়ের করেছে। বর্তমানে বিষয়টির তদন্তভার রয়েছে সিবিআই-র হাতে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন