সামনেই লোকসভা নির্বাচন। তার আগে রীতিমতো চমক দিয়ে সোমবার সিএএ চালু করার বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে মোদী সরকার। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই চর্চা শুরু করেছে বিরোধী শিবিরগুলি। সিএএ আইনকে ‘অগ্রহণযোগ্য’ বলে মন্তব্য করেছেন সদ্য রাজনীতিতে পা রাখা তামিল সুপারস্টার থালাপতি বিজয়ও। তিনি তামিলনাড়ু সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছেন, যাতে রাজ্যে এই আইন প্রয়োগের অনুমতি না দেওয়া হয়।
সিএএ-র অধীনে শুধুমাত্র পাকিস্তান, আফগানিস্তান এবং বাংলাদেশ থেকে ভারতে আশ্রয় নেওয়া অ-মুসলিম শরণার্থীরা ভারতের নাগরিকত্ব পাবেন। এই নিয়ে সোমবার একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করে বিজয় বলেন, ‘বিভাজনমূলক রাজনীতির’ জন্য সিএএ লাগু করা হয়েছে।
তিনি এদিন বলেন, “সংশোধনী নাগরিকত্ব আইন, ২০১৯, এই আইনটি এমন পরিবেশে গ্রহণযোগ্য নয় যেখানে দেশের নাগরিকরা সামাজিক সম্প্রীতির সাথে বসবাস করেন। তামিলনাড়ু সরকারকে অবশ্যই আশ্বস্ত করতে হবে যে তারা রাজ্যে এই আইন প্রয়োগ করবে না।"
সম্প্রতি রাজনীতির ময়দানে পা রেখেছেন থালাপতি বিজয়। তাঁর দলের নাম - ‘তামিজাগা ভেট্রি কাজাগাম’ (Tamizhaga Vetri Kazhagam)। তবে টিভিকে আসন্ন লোকসভায় লড়বে না বলে জানা গেছে। ২০২৬ সালে তামিলনাড়ু বিধানসভা নির্বাচনে লড়বে বিজয়ের দল।
অন্যদিকে, এই সিএএ-র বিরোধীতা করেছেন আরও এক অভিনেতা তথা রাজনীতিবিদ কমল হাসান। নির্বাচনের আগে এই আইনের মাধ্যমে জনগণকে বিভক্ত করার এবং ভারতের সম্প্রীতি নষ্ট করার চেষ্টা করার অভিযোগ এনেছেন অভিনেতা।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (CAA) পাশ করে মোদী সরকার। সংসদের দুই কক্ষে পাশ করানোর পর এই বিলে সম্মতি দেন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। যাতে ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের পর আফগানিস্তান, বাংলাদেশ এবং পাকিস্তান থেকে আগত হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পার্সি এবং খ্রিস্টানদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়া যায়।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন