১৯৪৭ সালে নয়। দেশ প্রকৃত স্বাধীনতা পেয়েছে নাকি ২০১৪ সালে! সম্প্রতি একটি সামিটে যোগদান করে এমনই মন্তব্য করলেন অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াত। তাঁর এই মন্তব্যে স্বাভাবিক ভাবেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
সাম্প্রতিককালে নানা ইস্যুতে বিতর্কে জড়িয়ে পড়া প্রায় অভ্যাসে পরিণত করে ফেলেছেন জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত এই অভিনেত্রী। প্রায় সবক্ষেত্রেই তিনি এমন কিছু মন্তব্য করেছেন, যা আদতে তাঁর গ্রহণযোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে। নেটাগরিকদের কাছে তিনি চাটুকার তকমাও পেয়েছেন। তাঁর কটাক্ষের নিশানায় যেমন রয়েছেন হৃতিক রোশন, দীপিকা পাডুকোন, তেমনই রয়েছে নেপটিজমও। এসবের মধ্যেও তাঁর জাতীয় পুরস্কার পাওয়া নিয়েও বিতর্ক ছড়িয়েছে।
‘কঙ্গনা বলেন, ‘১৯৪৭-এ দেশ আদতে স্বাধীনতা পায়নি। ভিক্ষা পেয়েছিল। আসল স্বাধীনতা পেল ২০১৪-য়।’ স্বাধীনতা বলতে তিনি যে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে নরেন্দ্র মোদির নির্বাচন জয় এবং তাঁর সরকার গঠনের কথাই বলেছেন, সেটা খুবই স্পষ্ট বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
এক নেটিজেন অভিনেত্রীকে বক্তব্যের ভিডিও পোস্ট করে কটাক্ষ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় যা লিখেছেন তার সারমর্ম, প্লাস্টিকের তলোয়ার নিয়ে কাঠের ঘোড়ায় চড়ে বীরাঙ্গনা হওয়া যায়। আর সেই বীরাঙ্গনা সরকারি চাটুকার স্বাধীনতার সেনাদের অপমানও করছে। হাজার হাজার বলিদানের পরিণামকে ভিক্ষা নাম দিচ্ছে।
কঙ্গনার মন্তব্যের পর করতালির ঝড় ওঠে। সেই প্রসঙ্গে ওই নেটিজেনের কটাক্ষ, ওনাকে থামাতেই লোকে করতালি দেয়। আবার অনেকের মন্তব্য, ‘কেবল পুরস্কার পাওয়ার জন্যই এসব বলছেন তিনি।’
কঙ্গনার বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন বিজেপি সাংসদ বরুণ গান্ধীও। তিনি ট্যুইটে লিখেছেন - " কখনও মহাত্মা গান্ধীর আত্মত্যাগের অবমাননা, কখনও তাঁর হত্যাকারীর প্রতি শ্রদ্ধা, আর এখন শহীদ মঙ্গল পান্ডে থেকে রানি লক্ষ্মীবাই, ভগৎ সিং, চন্দ্রশেখর আজাদ, নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু এবং লক্ষ লক্ষ স্বাধীনতা সংগ্রামীর আত্মত্যাগের প্রতি অবজ্ঞা। এই চিন্তাকে পাগলামি নাকি দেশদ্রোহিতা বলবো?"
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন