অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াতের স্বাধীনতা সংক্রান্ত মন্তব্য ঘিরে বিতর্ক এখনও চলছে। বিরোধীদের দাবি, কঙ্গনার পদ্মশ্রী সম্মান কেড়ে নেওয়া হোক। তাঁর বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হোক। বিরোধীদের এই দাবিকে অবশ্য মেনে নিয়েছেন কঙ্গনা।
তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় সাধারণত টুইটার হ্যান্ডেলে নিজের বক্তব্য পেশ করেন। কিন্তু সেখানে তাঁকে ব্যান করে দেওয়ায় ইনস্টাগ্রামে জানিয়েছেন, পদ্মশ্রী ফিরিয়ে দিতে তার আপত্তি নেই। কিন্তু তার জন্য নির্দিষ্ট শর্ত রয়েছে। তা পূরণ হলে তিনি পদ্মশ্রী ফিরিয়ে দেবেন।
বুধবার এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে কঙ্গনা দাবি করেছিলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ক্ষমতায় আসার পর ভারত প্রকৃত স্বাধীনতা পেয়েছিল। ১৯৪৭ সালে দেশ স্বাধীনতা পায়নি। ওটা ভিক্ষা ছিল। স্বাভাবিক ভাবেই এমন মন্তব্যের পরেই বিতর্ক তৈরি হয়। তাঁকে চাটুকারের তকমাও দেওয়া হয়।
ইতিহাস বইয়ের একটি পাতা তুলে কঙ্গনা লিখেছেন, '১৮৫৭ সালেই স্বাধীনতার জন্য দেশ প্রথম একত্রিত হয়। সেই সঙ্গে সুভাষচন্দ্র বসু, রানি লক্ষ্মীবাই ও বীর সাভারকরের কথাও জানিয়েছিলাম আমি। ১৮৫৭ সালের কথা আমি জানি। কিন্তু ১৯৪৭ সালে কোন যুদ্ধ হয়েছিল, তা আমার জানা নেই। কেউ তা আমার নজরে আনলে আমি আমার পদ্মশ্রী ফিরিয়ে দেব। ক্ষমাও চাইব।'
কঙ্গনার ব্যাখ্যা, দেশ ১৯৪৭ সালে আক্ষরিক স্বাধীনতা পেয়েছিল। কিন্তু চেতনা ও বিবেকের স্বাধীনতা মিলেছিল ২০১৪ সালে। ওই বছরই এক মৃত সভ্যতা জেগে উঠেছিল। মহারাষ্ট্রের বিজেপি সভাপতি চন্দ্রকান্ত পাটিলের বক্তব্য, 'দেশের স্বাধীনতা নিয়ে কুমন্তব্য করার কোনও অধিকার নেই কারুর।'
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন