৮০ তে থামল রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যর জীবন। বৃহস্পতিবার সকালে নিজের পাম অ্যাভিনিউয়ের বাড়িতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। রাজনৈতিক মহল থেকে টলিউড - তাঁর মৃত্যুতে শোকের ছায়া সর্বত্র। তাঁর মৃত্যুর খবর পেয়ে শোকাহত অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, দেব, অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র, পরিচালক কমলেশ্বর মুখোপাধ্য়ায়, অনীক দত্তরা।
সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে বুদ্ধবাবুকে শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রসেনজিৎ লেখেন - ‘একজন সত্যিকারের ভাল গুণী মানুষ চলে গেলেন, ভাল থাকবেন। বুদ্ধ বাবুর পরিবারের প্রতি রইল আমার আন্তরিক সমবেদনা।'
অভিনেতা দেব লেখেন, ‘একজন সত্যিকারের ভদ্রলোক। একজন সত্যিকারের নেতা। শান্তিতে থাকুন স্যার’৷
বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের মৃত্যুতে শ্রীলেখা মিত্র জানান, “বুদ্ধবাবু চলে গিয়ে বেঁচে গিয়েছেন। বাংলার মানুষ তাঁর সঙ্গে যেটা করেছে, সেটা ক্ষমার অযোগ্য। ওই দুঃখ, এই কষ্ট ভিতরে রেখে মাথা উঁচু করে উনি চলে গেলেন। কারও কাছে মাথা নোয়ালেন না। কোনও আপোস করলেন না। যেরকম ভাবে একজন কমিউনিস্ট নেতার যাওয়ার কথা, সেই ভাবেই গেলেন। কোনও ঢাকঢোল না বাজিয়ে, উনি চলে গেলেন এবং আমি বলব বেঁচে গেলেন। এই শেষের দিকে ওঁকে নিয়ে যে নোংরামো হয়েছিল, আমার মনে হয়েছে, বুদ্ধবাবুর যোগ্যই নই আমরা।"
অন্যদিকে, পরিচালক কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায় বলেন, “বামপন্থী আন্দোলনের ক্ষেত্রে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যর চলে যাওয়াটা অত্যন্ত দুঃখজনক। পশ্চিমবঙ্গে শিল্পায়ন যদি ওঁর হাত দিয়ে শুরু হত, আমরা একটা অন্য ধরনের পশ্চিমবঙ্গ দেখতে পেতাম।”
পরিচালক অনীক দত্ত জানিয়েছেন, “কী বলি বলুন তো। আমি কিছুক্ষণ চুপ করে থাকতে চাই। কথাই বলতে পারছি না। এটা সকাল-সকাল কী সংবাদ দিলেন। বুদ্ধবাবু নেই!”
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন