অনশনকারীদের গণতান্ত্রিক অধিকারে কেন হস্তক্ষেপ করছে তৃণমূল সরকার? গভীর রাতে টেট উত্তীর্ণ আন্দোলনকারীদের জোর করে বিক্ষোভ স্থল থেকে সরানো প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শাসিত রাজ্য সরকারের কাছে জবাব চাইলেন অপর্ণা সেন।
নিজের টুইটারে অভিনেত্রী তথা চিত্র পরিচালক অপর্ণা সেন লেখেন, "অনশনকারীদের গণতান্ত্রিক অধিকারে হস্তক্ষেপ করছে তৃণমূল সরকার! অহিংস আন্দোলনের বিরুদ্ধে ১৪৪ ধারা জারি করা হল কেন? পশ্চিমবঙ্গ সরকারের এই অনৈতিক আচরণের তীব্র প্রতিবাদ করছি!"
বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে করুণাময়ীতে ২০১৪ টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলন তুলে দিল পুলিশ। বলপূর্বক টেনেহিঁচড়ে অনশনকারী চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভ স্থল থেকে সরানো হয়েছে বলে অভিযোগ। গত প্রায় ৮৫ ঘণ্টা ধরে করুণাময়ীতে প্রথামিক শিক্ষা পর্ষদের ভবনের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ করছিলেন তাঁরা। নিয়োগের দাবিতে আমরণ অনশনও শুরু করেছিলেন তাঁরা। আমরণ অনশনের ৬১ ঘণ্টা অতিক্রম হয়েছিল।
গতকাল রাতে প্রথমে আন্দোলনকারীদের জমায়েতকে বেআইনি ঘোষণা করে পুলিশ। তার পর দুই মিনিট সময় দেওয়া হয় আন্দোলন তুলে নেওয়ার জন্য। কিন্তু আন্দোলনকারীরা না সরলে কার্যত টেনেহিঁচড়ে তাঁদের সকলকে বাসে তোলা হয়। রেহাই পাননি মহিলা আন্দোলনকারীরাও। ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, পুলিশের সামনেই কান্নায় ভেঙে পড়ছেন মহিলা আন্দোলনকারীরা। 'আমাদের ন্যায় দিন, আমাদের সাথে অন্যায় হয়েছে। আমাদের বাঁচান' - পুলিশের সামনে হাতজোড় করে বলতে দেখা গেছে তাঁদের। কিন্তু পুলিশ কোনো অনুরোধেই কান না দিয়ে তাঁদের জোর করে টেনেহিঁচড়ে আন্দোলন স্থল থেকে সরাচ্ছেন।
দু'জন চাকরি প্রার্থী পুলিশের গাড়ির চাকার নিচে শুয়েই আত্মহত্যার চেষ্টাও করেন। পুলিশ তাঁদের নিরস্ত করে। পুলিশের সাথে ব্যাপক ধস্তাধস্তি চলাকালীন বেশ কয়েকজন অসুস্থ হয়ে পড়েন। কয়েকজনকে অ্যাম্বুলেন্সে করে বিক্ষোভস্থল থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। জানা গেছে, প্রথমে সকলকে বিধাননগর উত্তর থানা ও নিউটাউন থানায় নিয়ে আসা হয়। তার পর রাতেই তাঁদের ধর্মতলা, শিয়ালদহ এবং হাওড়াতে নামিয়ে দেওয়া হয়।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন