বাবা অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে রাজনীতির সম্পর্ক বেশ পুরনো। মা জয়া বচ্চনও আজ বিশ বছর হয়ে গেল রাজনীতির ময়দানে পা রেখেছেন। দুজনেই অভিনয়ের পাশাপাশি একজন সফল রাজনীতিবিদ হিসেবেও পরিচিত। তাঁদের ছেলে হয়ে অভিষেক বচ্চন কি শুধুই রূপোলী পর্দায় সীমাবদ্ধ থাকবেন? রাজনীতির দরবারে কি কোনওদিন দেখা যাবে না জুনিয়র বচ্চনকে? এক জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্টে সেই প্রশ্ন এবার জল্পনায় পরিণত হল।
এক হিন্দি সংবাদমাধ্যমে সম্প্রতি অভিষেক বচ্চনের রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার সম্ভাবনাকে উসকে দিয়ে একটি রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। সেই রিপোর্টে বলা হয়েছে, খুব শীঘ্রই রাজনীতির ময়দানে নামতে চলেছেন অভিষেক বচ্চন। মা জয়া বচ্চনের মতোই অখিলেশ যাদবের সমাজবাদী পার্টিতে যোগ দিয়ে আগামী লোকসভা নির্বাচনেই এলাহাবাদ কেন্দ্র থেকে ভোটে লড়বেন অভিষেক। যদিও অভিষেক বা সমাজবাদী পার্টির তরফে এই খবরের সত্যতা নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও মন্তব্য করা হয়নি। তবে এই খবররে পর থেকে অভিষেকের রাজনীতিতে যোগদান নিয়ে তুমুল জল্পনা শুরু হয়েছে।
যদিও এই রাজনীতিতে যোগদান করা নিয়ে ২০১৩ সালে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অভিষেক জানিয়েছিলেন, “আমার মা-বাবা সক্রিয় রাজনীতিতে ছিলেন এবং এখনও রয়েছেন কিন্তু আমি হয়তো ওই পথে যাবো না। হ্যাঁ, পর্দায় কোনও রাজনীতিবিদের চরিত্রে অভিনয় করতেই পারি। কিন্তু বাস্তব জীবনে আমি কখনই রাজনীতিতে যোগ দেব না।”
প্রসঙ্গত, কিংবদন্তি অভিনেতা অমিতাভ বচ্চন ১৯৮৪ সালে অভিনয় থেকে সাময়িক বিরতি নিয়ে তার দীর্ঘদিনের বন্ধু রাজীব গান্ধীর হাত ধরে রাজনীতিতে নেমেছিলেন। এলাহাবাদ কেন্দ্র থেকে ৬৮ শতাংশ ভোট পেয়ে লোকসভা নির্বাচন জিতে সংসদেও গিয়েছিলেন অমিতাভ। কিন্তু ১৯৮৭ সালে বোফর্স কাণ্ডে তাঁর নাম জড়ালে তিনি সাংসদ পদ থেকে সরে আসেন। অন্যদিকে, জয়া বচ্চন ২০০৪ সালে সমাজবাদী পার্টির হয়ে প্রথমবার রাজ্যসভার সাংসদ নির্বাচিত হন। তারপর ২০১২ সালে তৃতীয় ও ২০১৮ সালে চতুর্থবারের জন্য তিনি রাজ্যসভার সাংসদ নির্বাচিত হন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন