কোয়ার্টার ফাইনালে ইংল্যান্ডের প্রতিপক্ষ ইউক্রেন। গ্লাসগোতে নির্ধারিত ৯০ মিনিটে ১-১ গোলে ড্র থাকার পর সুইডেন এবং ইউক্রেনের খেলা গড়ায় অতিরিক্ত ৩০ মিনিটে। সেখানে আর্টেম ডোভবিকের শেষ মুহূর্তের গোলে সুইডেনকে আটকে জয় ছিনিয়ে নেয় ইউক্রেন। ২০০৬ বিশ্বকাপের পর প্রথম কোনো বড় আসরের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠল শেভচেংকোর দল এবং ইউরোর ইতিহাসে যা প্রথমবার।
গতরাতে শেষ ষোলোতে জমজমাট প্রথম ম্যাচে জার্মানিকে হারিয়ে শাপমুক্তি ঘটিয়েছে ইংল্যান্ড। দ্বিতীয় ম্যাচটিও যে রুদ্ধশ্বাস ম্যাচের উদাহরণ সে বিষয়ে সন্দেহ নেই। তবে সুইডেন এগিয়ে যেতে পারতো অনেক আগেই। নির্ধারিত সময়ে অন্তত তিনটি গোল করতে পারতো তারা। তা তো হয়নিই। উপরন্তু অতিরিক্ত সময়ে খেলা গড়ালে ঘুরে ইউক্রেনই বাজিমাৎ করে।
এই ম্যাচের শুরু থেকেই প্রভাব দেখায় সুইডেন। বারবার তারা ইউক্রেন শিবিরে হানা দিতে থাকে। কিন্তু অঘটন ঘটে ম্যাচের ২৭ মিনিটে। সুইডেন বলের ওপর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ রাখলেও হঠাৎ করে ইয়ারমলেংকোর বল পেয়ে যায়। সেই বল তিনি পাঠান অলেগ জিনচেংকোকে। জিনচেংকোর বাঁ পায়ের বুলেট শটের কোনো উত্তর ছিলোনা সুইডেনের গোলরক্ষকের কাছে। প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার আগেই অবশ্য সমতা ফিরে পায় সুইডেন। ৪৩ মিনিটে আলেক্সান্ডার ইজাকের পাস থেকে সুইডেনকে সমতা এনে দেন এমিল ফর্সবার্গ।
গ্লাসগোতে কার্যত ভাগ্য সঙ্গ দেয়নি এমিল ফর্সবার্গ, দেজান কুলুসেভস্কিদের। প্রথমার্ধে সমতা থাকলেও দ্বিতীয়ার্ধে গোলের দেখা পায়নি কোনো দলই। তবে সুইডেন পেয়েছিলো অসংখ্য সুযোগ। এমিল ফর্সবার্গের দুটি শট বার পোস্টে লেগে ফিরে আসে। দেজান কুলুসেভস্কিও দুটি নিশ্চিত গোলের সুযোগ পেলেও ভাগ্য সহায়তা করেনি। খেলা অতিরিক্ত সময়ে গড়ানোর পর ৯৯ মিনিটে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয় মার্কাস ড্যানিয়েলসনকে। এরপর ১০ জনের সুইডেনকে শেষ মুহূর্তে হতাশ করেন আর্টেম ডোভবিক। ইউক্রেন চলে যায় কোয়ার্টার ফাইনালে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন