দ্বিতীয় রাউন্ড থেকেই বিদায় নিয়েছে নেদারল্যান্ড, ফ্রান্স। বিদায় নিয়েছে পর্তুগালও। আজ মাঠে নামছে ইউরোপের আরও দুই হেভিওয়েট দল। ওয়েম্বলিতে ভারতীয় সময় রাত ঠিক সাড়ে ৯ টায় কোয়ার্টার ফাইনালের টিকিটের জন্য মুখোমুখি হচ্ছে ইংল্যান্ড এবং জার্মানি। দ্বিতীয় রাউন্ডের শেষ ম্যাচে গ্লাসগোতে মাঠে নামছে সুইডেন এবং ইউক্রেন।
ইংল্যান্ড এবং জার্মানির ম্যাচ মানেই উত্তেজনা। হবেই না কোন, একে অপরের যে চির শত্রু। ইতিহাস ঘাঁটলে বোঝাই যাবে ওয়েম্বলিতে আজ কার্যত বিশ্বযুদ্ধের দামামা বাজতে চলেছে। খেলা হচ্ছে ওয়েম্বলিতে। লন্ডনে খেলা হওয়ার দরুণ বাড়তি অ্যাডভান্টেজ পাবে ইংল্যান্ড। দর্শকের আওয়াজে স্টেডিয়াম গমগম না করলে ফুটবল চলেনা! কথাটা নিখাদ খাঁটি। ইংল্যান্ড তাদের ঘরের মাঠ থেকে সমর্থকদের উৎসাহ পাবে। অন্যদিকে জার্মানির দর্শক থাকলেও তা থাকবে তুলনামূলক ভাবে কম।
দুই কোচই তাঁদের মাস্টার মাইন্ড লাগিয়ে দিয়েছেন একে অপরকে রুখে দেওয়ার জন্য। জোয়াকিম লো জানেন ইংল্যান্ডকে ঘরের মাঠে আটকানো সহজ নয়। জার্মানি গ্রুপ পর্বের তিনটি ম্যাচই খেলেছে মিউনিখে। ঘরের মাঠ ছেড়ে এবার ইংল্যান্ডের মাঠে তাদেরই বিপক্ষে নামছে তারা। গ্রুপ পর্বে জার্মানির হয়ে সবচেয়ে সফল কাই হাভার্টেজ। হাভার্টেজ দুটি গোল করেছেন এবং একটি করে গোল করেছেন গোরেৎজকা এবং গোসেনস। আজকের ম্যাচের জন্য মূলার, কিমিচ, জিনাব্রি, ওয়ের্নারদের নিয়ে নতুন ছক কষে রেখেছেন জোয়াকিম লো।
ইংল্যান্ডকে চলতি ইউরোর সবচেয়ে ফেভারিট দল হিসেবে বিবেচনা করা হলেও গ্রুপ পর্বে স্ট্রাইকারদের ফর্ম ভাবাচ্ছে গ্যারেথ সাউথগেটকে। গ্রুপ পর্বে শীর্ষ স্থানে শেষ করলেও তিন ম্যাচে মাত্র দুটি গোল করেছে ইংল্যান্ড। দুটি গোলই এসেছে রহিম স্টার্লিংএর পা থেকে। থ্রি লায়ন্সের রক্ষণভাগ নিয়ে কোনো চিন্তার কারণ নেই। কিন্তু আক্রমণভাগে ঘাটতি রয়েছে। দলের প্রধান স্ট্রাইকার হ্যারিকেন গোল করতেই ভুলে গেছেন। তাঁর কামব্যাকের আশায় এই ম্যাচে মুখিয়ে আছে ব্রিটিশ সমর্থকরা। সাউথগেট ভালো করেই জানেন এই ম্যাচে গোল করতে হবে এবং রক্ষণভাগের ওপর বিশেষ নজর রাখতে হবে। তা নাহলে জার্মান শক্তির প্রেসিং ফুটবলের কাছে দাঁড়ানোই যাবেনা।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন