Euro Cup: শাপমুক্তি হলো না ইংল‍্যান্ডের, দ্বিতীয়বার ইউরো চ‍্যাম্পিয়ন ইতালি

ফাইনালে শুরুটা স্বপ্নের মতো হয়েছিলো ইংল্যান্ডের। ম্যাচের ২ মিনিটেই এগিয়ে যায় থ্রি লায়ন্সরা। প্রথমার্ধে ইংল্যান্ড লীড বজায় রাখলেও, দ্বিতীয়ার্ধের ৬৭ মিনিটে ইতালিকে অক্সিজেন দেন লিওনার্দো বনুচ্চি।
Euro Cup: শাপমুক্তি হলো না ইংল‍্যান্ডের, দ্বিতীয়বার ইউরো চ‍্যাম্পিয়ন ইতালি
ছবি উয়েফা ইউরোর ট‍্যুইটার হ‍্যান্ডলের সৌজন্যে
Published on

টুর্নামেন্ট শুরুর আগে থেকেই ইংল্যান্ডের মুখে মুখে একটাই কথা ঘোরাঘুরি করছিলো। 'ইটস কামিং হোম'। কিন্তু শেষ পর্যন্ত হোম না। ট্রফি উড়ে গেলো রোমে। রুদ্ধশ্বাস ফাইনালে নাটকীয় জয় পেলো ইতালি। টাইব্রেকারে ইংল্যান্ডের দুটো শট ঠেকিয়ে ফাইনালের নায়ক আজ্জুরিদের গোলরক্ষক জিয়ানলুইজি ডোন্নারুমা। ১৯৬৮ সালের পর আবার ইউরো কাপের শিরোপা জিতলো ইতালি। অন্যদিকে দীর্ঘ ৫৫ বছরের অপেক্ষা আগামী বিশ্বকাপের জন্য আরও বাড়লো গ্যারেথ সাউথগেটের।

ফাইনালে শুরুটা স্বপ্নের মতো হয়েছিলো ইংল্যান্ডের। ম্যাচের ২ মিনিটেই এগিয়ে যায় থ্রি লায়ন্সরা। কিরেন ট্রিপারের বাড়ানো বল নিখুঁত ভাবে ডোন্নারুমার জালে জড়িয়ে দেন লুক শ। ওয়েম্বলির হাজার ষাটেক দর্শক যেনো খুশিতে ফেটে পড়ে ম্যাচের শুরুতেই।

প্রথমার্ধে ইংল্যান্ড লীড বজায় রাখলেও, দ্বিতীয়ার্ধের ৬৭ মিনিটে ইতালিকে অক্সিজেন দেন লিওনার্দো বনুচ্চি। গোলের জন্য ছটফট করতে থাকা ইতালি সমতা ফিরে পায়। এরপর দুই দলের লড়াই আরও উত্তেজনার সৃষ্টি করে। তবে নির্ধারিত ৯০ মিনিটে এবং পরে অতিরিক্ত আরও ৩০ মিনিটেও আর গোল আসেনি কোনো দলেই। অবশেষে টাইব্রেকারে খেলার ফলাফল বিচার করা হয়।

টাইব্রেকারে ইতালির হয়ে প্রথম শটটি নিতে আসেন বেরার্ডি এবং ইংল্যান্ডের হয়ে হ্যারি কেন। দুজনেই গোল করেন। দ্বিতীয় শটে ইংল্যান্ডের হ্যারি ম্যাগুয়ের গোল করলেও জর্ডান পিকফোর্ড রুখে দেন আন্দ্রেই বেলোত্তিকে। তৃতীয় শটে আবার লিওনার্দো বনুচ্চি গোল করে ইতালিকে সমতা এনে দিলেও মার্কাস র‌্যাশফোর্ড অফ টার্গেটে বল মারেন। চতুর্থ শটে আবার ফ্রেডরিকো বার্নাডেশ্চির গোলে লীড পায় আজ্জুরিরা। এরপর জ্যাডন স্যাঞ্চো এবং বুকায়ো সাকার বল আটকে ইউরো নিজেদের অধীনে করে নেন ডোন্নারুমারা।

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in